• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

প্রতিবেশী দুই দেশের হালই টালমাটাল, জরুরি বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর গদি নিয়ে টালমাটাল চলছে,অন্যদিকে চরম আর্থিক সঙ্কটে শ্রীলঙ্কা।দুই দেশের টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়েই এবার জরুরি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী।

একদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর গদি নিয়ে টালমাটাল চলছে, আর অন্যদিকে চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রতিবেশী দুই দেশের টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়েই এবার জরুরি বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সূত্রের খবর, সংসদ ভবনে বসে এই বৈঠক। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন তিনি।

প্রতিবেশী দুই দেশের ব্যাপারে বিদেশমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সরাতে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা, দুই দেশেই প্রায় একই সময় সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

একদিকে যেখানে ইমরান খানকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে উদ্যোগী বিরোধীরা, সেখানেই আবার আর্থিক দেনায় ডুবে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা।

এই পরিস্থিতিতে দুই দেশকে কীভাবে সাহায্য করা যায় তা খতিয়ে দেখতেই বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী। গোটা পরিস্থিতির সঙ্গে ওয়াকিবহাল রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

তাঁর কাছ থেকেই গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। উল্লেখ্য ঋণের দায়ে ও আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত হয়ে পড়েছে শ্রীলঙ্কা।

দেশের অর্থনীতির একটা বড় অংশই পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় করোনাকালে তা বিপুল সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে।

অন্যদিকে কলম্বোর বিদেশী ঋঋণের বড় অংশ চিনের থেকেই নেওয়া। সঙ্কটের মুহূর্তে পশে থাকা তো দূরঅস্ত, বরং টাকা ফেরত দিতে চাপাচাপি শুরু করে দিয়েছে চিন।

প্রায় ৩৫০ কোটি ডলার অর্থাৎ ২৬, ৫৭৫ কেটি টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। দু’বছরের সময়সীমাও বেধে দেওয়া হয়েছে ঋণ পরিশোধের জন্য শ্রীলঙ্কায় যে চরম আর্থিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

সেই বিষয়টি সামনে আসার পরেই গত ২৮ মার্চ শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ও প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন এবং যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দেন।

ইতিমধ্যেই ভারতের তরফে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল পাঠানো হয়েছে শনিবার। এছাড়াও পাঠানো হচ্ছে ৪০ হাজার টন চালও।

বর্তমানে শ্রীলঙ্কার আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় ক্রেডিট লাইনেই এই সাহায্য পাঠানো হচ্ছে। অন্যদিকে প্রথম থেকেই পাকিস্তানের সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায়।

ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, বিশেষ করে কাশ্মীর নিয়ে ক্রমাগত নাক গলায় পাকিস্তান।

কিন্তু সেই দেশেই বর্তমানে টালমাটাল অবস্থা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নি বরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দেশের অর্থনীতি, বিদেশনীতি কিছুই সামলাতে পারছেন না ইতিমধ্যে পাক সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল বিরোধীরা।

গতকাল রবিবারই জাতীয় সংসদে আস্থাভোট হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু শেষ মুহূর্তে নাটকীয়ভাবে ডেপুটি স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাবকে সংবিধানবিরোধী বলে আখ্যা দিয়ে খারিজ করে দেন।

এরপরই ইমরান জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, যে তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে পাক সংসদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন।

পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। এই পরামর্শ মেনেই গতকাল পাক সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়।

আগামী তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করার কথা ঘোষণা করা হয়। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার দিকেও কড়া নজর রাখছে ভারত।