গত ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল- ‘নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে সমালােচনা করলেই তা রাষ্ট্রদ্রোহিতা হতে পারে না। ভারতীয় সংবিধানের ১২৪ এ ধারার অপপ্রয়ােগ নিয়ে আশংকা প্রকাশ করেছিল তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ।
চার বছর পর সেই রাষ্ট্রদ্রোহিতা নিয়ে ফের প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সােমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ রাষ্ট্রদ্রোহিতার সংজ্ঞা নির্ধারণের প্রয়ােজনীয়তা রয়েছে বলে পর্যবেক্ষণে উল্লেখ রাখে।
রাষ্ট্রদ্রোহিতার সংজ্ঞা নুতন করে নির্ধারণের জন্য মত প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টের এই ডিভিশন বেঞ্চ। এক সাংসদ সহ দুই তেলুগু চ্যানেলের বিরুদ্ধে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য সরকারের রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দাখিলের বিরুদ্ধে আপিল পিটিশনের শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালােচনা করে থাকে।
সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে পর্যবেক্ষণ উঠে আসে–‘দুটি চ্যানেলের বিরুদ্ধে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য সরকারের দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযােগ, বিচলিত করার মত ঘটনা। এখন রাষ্ট্রদ্রোহিতার সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে হবে আদালতকে এর কথা।
কোভিড পরিস্থিতি মােকাবিলার ব্যর্থতা সহ দুর্নীতি বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগমােহন রেডিডর সমালােচনা করায় সপ্তাহের আগে এই মামলা দাখিল হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযােগ তােলায় ওয়াই এস আর কংগ্রেসের সাংসদ রঘু রামকৃষও রাজুকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
সুপ্রিম কোর্ট ধৃত এই সাংসদের জামিন মঞ্জুর করে থাকে। সেই সাথে আদালতের তির্যক মন্তব্য-‘গতকাল সংবাদমাধ্যমে দেখলাম-মৃতদেহ সেতু থেকে নদীতে ফেলা হচ্ছে। জানিনা টিভি চ্যানেলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা হয়েছে কিনা!