দিল্লিতে করােনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের সর্বোচ্চ পর্যায় পেরিয়ে গিয়েছে। সে কারণে রাজধানীতে লকডাউনের কোনাে প্রয়ােজন নেই। এই কথা জানিয়েছেন দিল্লির স্বাস্থ্য মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন।
ফের লকডাউন করাটা কার্যকর হবে না বলেই মত তাঁর। সত্যেন্দ্র বলেছেন, বরং সবার মাস্ক পরাটা আরও বেশি কার্যকরী হবে। তিনি জানান- নভেম্বরে দিল্লিতে কোভিডের তৃতীয় ঢেউ চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে।
করােনা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের হতাশ হওয়া ঠিক হবে না বলে মনে করছেন তিনি। তাঁর আহ্বান, ভাইরাস এখনও চলে যায়নি। তাই সাবধানে থাকুন।
দিল্লিতে করােনা পরিস্থিতি নিয়ে যখন সারা দেশে সবার কপালে চিন্তার ভাঁজ, তখনই এই কথা বললেন সেখানকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী। দীপাবলিতে সংক্রামিতের রেকর্ড সংখ্যার কারণে আইসিইউ বেডেরও ঘাটতি দেখা দিয়েছিল দিল্লিতে।
রাজধানীর করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই চিন্তা বাড়াচ্ছে। আর তা নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে নেমেছেন অমিত শাহ। রবিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উপগ্রাজ্যপাল অনিল বৈজল, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন, দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন এবং আইসিএমআর কর্তা বলরাম ভার্গন্ত্রে সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
যেভাবে গত দু’সপ্তাহে দিল্লিতে করােনার প্রকোপ বেড়েছে তাতে অচিরেই ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের তরফে দিল্লি সরকারকে ৭৫০ টি আইসিইউ বেড় দেওয়া হবে। এর মধ্যে ৫০০ টি আইসিইউ শয্যার ব্যবস্থা হবে ডিআরডিও শাখায়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী এবার দিল্লিতে প্রতিদিন এক থেকে সওয়া লক্ষ লােকের করােনা পরীক্ষা হবে। যার মধ্যে বেশির ভাগই হবে আরটি পিসিআর টেস্ট। এই কাজে সহায়তা করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা আইসিএমআর। বাড়ানাে হবে টেস্টিং মােবাইল ভ্যানের সংখ্যা।
রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে আয়ােজিত বৈঠকে অমিত শাহের আশ্বাস, রাজধানীর করােনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র সব ধরনের সাহায্য করবে। এর আগে গত জুন-জুলাইয়ে দিল্লির করােনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল। তখনও এগিয়ে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর হস্তক্ষেপে দিল্লির করােনা পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছিল।
দিন দুয়েক আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, রাজধানীতে করােনার তৃতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। দৈনিক সংক্রমণও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফের একবার উদ্যোগী অমিত শাহ।
সূত্রের খবর, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রস্তাব দিয়েছিলেন, রাজধানীতে অ্যান্টিজেন পরীক্ষার পাশাপাশি আরটি পিসিআর পরীক্ষাও বাড়ানাে হােক। এই প্রস্তাবেসম্মতি দিয়েছেন শাহ। স্থির হয়েছে দিল্লিতে আরটি পিসিআর পরীক্ষার সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে।