বুধবারই কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.২। যা মঙ্গলবারের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। জোড়া পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটেই আবহাওয়ার পরিবর্তন, মত হাওয়া অফিসের।
কনকনে ঠান্ডায় বড়দিন উপভোগ শীতবিলাসীদের কাছে অধরা থাকবে বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। কলকাতায় বুধবার সকালে সামান্য কুয়াশার দেখা মিলেছে। তবে বেলা বাড়তেই আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায়।
এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। তবে মঙ্গলবারের নিরিখে কলকাতার তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি বেশি।
কারণ, মঙ্গলবার শহরে তাপমাত্রার পারদ ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছিল। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৯১ শতাংশ। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টা শীত উপভোগ করতে পারবেন বঙ্গবাসী।
তারপর থেকে ধীরে ধীরে বাড়বে তাপমাত্রা। তবে শীতবিলাসীদের সুখবর শোনাতে পারেনি হাওয়া অফিস। কারণ, উত্তর-পশ্চিম ভারতে পরপর দু’টি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা রয়েছে।
তার প্রভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তন। আটকে যাবে উত্তুরে হাওয়া। তাই বাড়তে পারে তাপমাত্রা। এছাড়া, বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্তও অবস্থান করছে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে বৃষ্টি হতে পারে। সিকিমের উঁচু এলাকায় বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।
আগামী ২৪ ঘন্টায় ওড়িশা সহ মধ্য উত্তর-পশ্চিম ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি। পূর্ব ভারতে তাপমাত্রা বাড়বে ২-৩ ডিগ্রি। উত্তর-পশ্চিম ভারতের তাপমাত্রা বাড়বে ৩-৫ ডিগ্রি বাড়বে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে বুধ এবং বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, মুজফফরাবাদ এবং হিমাচল প্রদেশে বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা। উত্তর-পশ্চিম ভারতের হিমালয় সংলগ্ন জেলাগুলিতে আগামী শুক্রবার থেকে বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা।
অরুণাচল প্রদেশ, অসম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরাতে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি হতে পারে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং রাজস্থানে আগামী ৩-৪ দিন ঘন কুয়াশার দাপট থাকবে।