হাথরসের ঘটনায় বিশেষ কমিটি গড়ে তদন্তের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের 

ছট পুজো (Photo: IANS)

দিল্লি, ১২ জুলাই – উত্তরপ্রদেশের হাথরসে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার তদন্ত চেয়ে যে আবেদন করা হয় , তা গ্রহণ করল না সুপ্রিম কোর্ট।  দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, এবং মনোজ মিশ্রকে নিয়ে গঠিত তিন বিচারপতির বেঞ্চ বলে, এই ধরণের ঘটনা বিচলিত করে দেওয়ার মতো ঘটনা। আদালত  আবেদনকারী পক্ষকে   এই  বিষয়ে এলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে । প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় আবেদন খারিজ করে বলেন, ‘‘এ ধরনের আবেদন শোনার যোগ্যতা রয়েছে হাই কোর্টের।’’  গত ২ জুলাইয়ের ওই ঘটনার তদন্তের জন্য এক জন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পাঁচ সদস্যের কমিশন গড়ার আর্জি জানানো হয়েছিল শীর্ষ আদালতে।

গত ২ জুলাই হাথরসে একটি ‘সৎসঙ্গ’-এর আয়োজন হয়েছিল। নারায়ণ সাকার হরি ওরফে সাকার বিশ্ব হরি ওরফে ভোলে বাবা নামে এক ধর্মগুরুর ডাকে সেই ‘সৎসঙ্গ’-এ ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর দুর্ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানস্থল থেকে বেরোনোর সময় হুড়োহুড়ি পড়ে যায় মানুষের মধ্যে। ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কির কারণে একে অপরের উপর পড়ে গিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।  সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১২১-এ ।
বিচারপতিদের বেঞ্চ বলে, আবেদনকারীর উচিত ছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের কাছে যাওয়া, যারা এই ধরণের মামলা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। বেঞ্চ অ্যাডভোকেট বিশাল তিওয়ারির দায়ের করা আবেদনটি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে।  তিওয়ারি বেঞ্চের সামনে বলেন,এই ধরণের ঘটনায় যথাযথ চিকিৎসার সুবিধে না মেলার সমস্যা ভারতের জন্য উদ্বেগের।  আবেদনটি সর্বোচ্চ আদালতেও গ্রহণ করা যেতে পারে।  তবে বেঞ্চ এই বক্তব্য খারিজ করে দেয় । 
 
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশের পুলিশের একটি বিশেষ দল তদন্তের ভার নিয়েছে। কিন্তু শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলায় সরাসরি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধেই আঙুল তুলেছেন আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি। তাঁর দাবি, ছোট জায়গায় নিয়ম ভেঙে প্রায় আড়াই লক্ষ ভক্তের সমাগম হলেও তাঁদের সামলানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। ছিল না ন্যূনতম চিকিৎসার ব্যবস্থাও। আগেই পুলিশের তরফে করা এফআইআরে বলা হয়েছে, ‘সৎসঙ্গ’-এ ৮০ হাজার ভক্ত উপস্থিত থাকবেন বলে পুলিশকে জানিয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। কেন সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ সচেষ্ট হয়নি, সে প্রশ্ন তোলেন বিশাল। বসেদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজক কর্মকর্তা ও অন্যদের বিরুদ্ধে অবহেলামূলক আচরণের জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ চাওয়া হয়  আবেদনে।