মনিপুর:- সোমবার মণিপুর মামলায় সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। সূত্রের খবর, এদিন সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে মণিপুরে ত্রাণ কাজের দেখাশোনার জন্য হাইকোর্টের তিনজন প্রাক্তন বিচারপতির একটি প্যানেল গঠন করা হবে। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন- তাদের প্রচেষ্টা হল আইনের শাসনে বিশ্বাসের অনুভূতি ফিরিয়ে আনা। তারা এক পর্যায়ে গিয়ে হাইকোর্টের ৩ জন প্রাক্তন বিচারপতির একটি কমিটি গঠন করবে। তিনি আরও বলেছেন, তদন্ত ছাড়াও এই কমিটি অন্যান্য বিষয়ও খতিয়ে দেখবে। এই সময়ে, রাজ্য সরকার মামলাগুলির তদন্তের জন্য জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠনের প্রস্তাব করেছিল। মণিপুরের মহাপরিচালক রাজীব সিং প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চের সামনে হাজির হয়েছিলেন জাতিগত হিংসার ঘটনা এবং এটি মোকাবেলায় প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপ এবং কার্যকর তদন্তের উদ্দেশ্যে মামলাগুলি পৃথকীকরণের বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে। অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানি এবং সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন। এবং মামলা পৃথকীকরণ সহ বিভিন্ন বিষয়ে শীর্ষ আদালতের চাওয়া প্রতিবেদনটি ১লা আগস্ট জমা দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন যে রাজ্য সরকার সংবেদনশীল মামলাগুলির তদন্তের জন্য জেলা স্তরে পুলিশ সুপারিনটেনডেন্টদের নেতৃত্বে এসআইটি গঠনের প্রস্তাব করেছে এবং এছাড়াও ১১টি মামলা সিবিআই দ্বারা তদন্ত করা হবে। এর আগে, মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট পয়লা আগস্ট বলেছিল যে সেখানে আইন-শৃঙ্খলা এবং সাংবিধানিক যন্ত্রপাতি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। কেন্দ্র বেঞ্চকে অনুরোধ করেছিল যে জনতার দ্বারা মহিলাদের যৌন নির্যাতনের ভিডিও সম্পর্কিত দুটি এফআইআরের পরিবর্তে, ৬,৫২৩টি এফআইআর-এর মধ্যে ১১টি মহিলা ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা সংক্রান্ত মামলা সিবিআই-তে স্থানান্তর করা হোক এবং বিচার মণিপুরের বাইরে পরিচালিত হোক। এদিকে, মণিপুরে ফের হিংসা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আরও ১০টি কোম্পানি রাজ্যে পৌঁছেছে। অন্যদিকে, একটি বিশিষ্ট আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে সূত্রের খবর।
