অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের সময়ে জরুরি শুনানির জন্য মৌখিক আবেদন করা হত । কোনও মামলা দ্রুত শুনানির প্রয়োজন মনে করলে আইনজীবীরা তা মৌখিক ভাবে জানাতে পারতেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই ধরণের আবেদন করা হত গ্রেফতারির আশঙ্কা থাকলে বা কোনও নির্মাণ ভেঙে ফেলার ক্ষেত্রে। তবে মঙ্গলবার সেই পদ্ধতিতে বদল আনলেন বর্তমান প্রধান বিচারপতি।
আইনি ওয়েবসাইটে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বিবৃতি তুলে ধরা হয়েছে। তিনি চান, এদেশের মানুষ আরও সহজে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারুক। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষ যাতে সহজে আইনি প্রক্রিয়া বুঝতে পারেন সেদিকেও জোর দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। আইনি প্রক্রিয়া যাতে সাধারণ নাগরিকদের প্রতি নিষ্ঠুর না হয়, সেটিও অগ্রাধিকার দিতে চান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সময়ের উপর জোর দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। আইনি প্রক্রিয়া যাতে জটিল না হয়ে সুযোগ পদ্ধতিতে এগোয় সেদিকে জোর দিতে চান তিনি।
প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার কার্যকালের মেয়াদ ১৮৩ দিন। ২০২৫ সালের ১৩ মে অবসর গ্রহণ করবেন তিনি। দায়িত্ব গ্রহণের পরই বিচার ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয়ে নিজের ভাবনা চিন্তার কথা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।