দিল্লি, ২৯ জুলাই – ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের জামিনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। সুপ্রিম কোর্ট ইডির তরফে দায়ের করা সেই মামলা সোমবার খারিজ করে দেয়। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
জমি কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত আর্থিক তছরুপের মামলায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার নেতা হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করেছিল ইডি।লোকসভা ভোটের ঠিক আগে বেআইনি লেনদেনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ভোটের পর ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট তাঁকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে। সেই জামিনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে ইডি। সোমবার মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি বি আর গাভাই এবং কে ভি বিশ্বনাথের বেঞ্চে। আদালত জানিয়ে দেয়, ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে তা খুবই যুক্তিযুক্ত। এতে বেআইনি কিছু নেই। উচ্চ আদালত আরও বলে, “আমরা আর কোনও পর্যবেক্ষণ জানাতে চাই না, আর যদি পর্যবেক্ষণ জানাতে হয় তবে ইডির জন্য কিন্তু ব্যাপারটা কঠিন হয়ে যাবে ।”
জামিনের শুনানির সময় হাইকোর্টে ইডি জানিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীর পদের অপব্যবহার করে বেআইনিভাবে হেমন্ত সোরেন রাঁচির বারগেইন এলাকায় ৮.৮৬ একর জমি দখল করে। যদিও হেমন্তের আইনজীবী ইডির বিরুদ্ধে সোরেনকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর অভিযোগ করেছিলেন। অবশেষে জামিন পেয়ে যান হেমন্ত। এবার সুপ্রিম কোর্টও জামিনের বিরোধিতা করে ইডির আবেদন খারিজ করে দিল।
হেমন্ত সোরেন জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন চম্পাই সোরেন। আবার হেমন্ত সোরেন রাজ্য বিধানসভায় আস্থা প্রস্তাব পেশ করেন এবং জিতে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন।
এই মামলায় হেমন্ত সোরেন ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে আরও প্রায় ২৫ জনকে।