দিল্লি, ১৫ মার্চ – দেশের দুই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের উপর এখনই স্থগিতাদেশ দিতে রাজি নয় সুপ্রিম কোর্ট। কোনও অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়ে তারা কোনও আইনকে স্থগিত করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের বেঞ্চ আরও বলেছে, নয়া দুই নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ স্থগিত করতে লিখিত আবেদন করতে হবে। এই বিষয়ে, মৌখিক আবেদন আদালত গ্রহণ করবে না। সোমবার শীর্ষ আদালত জানায় , আগামী সপ্তাহে এই মামলার ফের শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের মার্চ মাসে একটি রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য দুই নির্বাচন কমিশনারকে তিন সদস্যের একটি কমিটি বেছে নেবে। কমিটিতে থাকবেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা, প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের প্রধান বিচারপতি। তবে একই সঙ্গে ওই রায়ে বলা হয়েছিল, নতুন আইন প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত আগের আইন বলবৎ থাকবে। কিন্তু গত বছর অগস্ট মাসেই কেন্দ্র সরকার ‘নির্বাচন কমিশনার বিল, ২০২৩’ বিল পাশ করে। সেই বিলে বলা হয়, তিন সদস্যের প্যানেলে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং প্রধানমন্ত্রী মনোনীত এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়ে আপত্তি তোলেন বিরোধীরা। তাঁদের কথায়, কমিশনার বাছাই করার কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে দেশের প্রধান বিচারপতিকে। বিরোধীদের অভিযোগ, এর ফলে এই বাছাই কমিটিতে প্রথম থেকেই সরকার পক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকছে। ফলে, কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।ফলে এই কমিটি পক্ষপাত দুষ্ট। এই কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন তাঁর মনোনীত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী। কমিটির বৈঠক শেষে অধীরই দুই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের কথা জানান। নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে আছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার।