• facebook
  • twitter
Tuesday, 1 April, 2025

আমেরিকার রিপোর্টের কড়া প্রতিক্রিয়া বিদেশমন্ত্রকের

একপেশে ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

ফাইল চিত্র

আমেরিকার ফেডারেল কমিশনের রিপোর্টের কড়া সমালোচনা করল ভারত। ওই রিপোর্টটি একপেশে এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছে নয়াদিল্লি। মঙ্গলবার ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং বা ‘র’-কে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেছে মার্কিন কমিশন। শুধু তাই নয়, মোদী জমানায় ভারতের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এই কমিশনের অভিযোগ, ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর নানাভাবে নির্যাতন চলছে। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই তার নিন্দা করেছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক।

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রকের আমেরিকার ফেডারেল কমিশনের ওই রিপোর্টটি নজরে এসেছে। এরপরেই তিনি জানিয়েছেন, ‘ওই রিপোর্টে যা বলা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ পক্ষপাতমূলক এবং রাজনৈতিক ভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’ কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে ভুল ভাবে উপস্থাপিত করার চেষ্টা করেছে আমেরিকার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কমিশন। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য এবং বহুমুখী সংস্কৃতিতে ভরা দেশ এই ভারত। ধর্মীয় স্বাধীনতার ক্ষেত্রে প্রকৃত উদ্বেগের ক্ষেত্রগুলির পরিবর্তে সমাজব্যবস্থার প্রতি সন্দেহ প্রকাশের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে করছে কেন্দ্র। মার্কিন কমিশনের ওই রিপোর্টে ইচ্ছাকৃত ভাবে একটি এজেন্ডাকে তুলে ধরা হয়েছে বলে সন্দেহ করছে নয়াদিল্লি।

মার্কিন কমিশনের রিপোর্টের সমালোচনা করে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘১৪৪ কোটি মানুষের দেশ ভারত। এখানে সব ধর্মের মানুষ রয়েছেন। আমেরিকার আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কমিশন ভারতের বহুত্ববাদী চিত্র বা সব ধর্মের সহাবস্থানকে স্বীকৃতি দেবে, এমন কোনও আশা আমরা করি না।’ কেন্দ্র জানিয়েছে, ভারত গণতন্ত্র এবং সহনশীলতায় বিশ্বাস রাখে। ভারতের অবস্থানকে দুর্বল করার এই ধরনের চেষ্টা কখনও সফল হবে না বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। উল্টে, আমেরিকার এই কমিশনকেই একটি উদ্বেগের বিষয় বলে চিহ্নিত করা উচিত বলে মনে করছে কেন্দ্র।

মার্কিন প্রশাসনের অধীনস্থ এই কমিশনটির মূল কাজ হল বিভিন্ন দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত বিষয়ের উপর নজর রাখা। সেইমতো আমেরিকার সরকারকে নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করে এই কমিশন। তবে কমিশনের সুপারিশ যে আমেরিকার প্রশাসনকে মানতেই হবে, এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, এশিয়া তথা বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে চিনের প্রভাব ঠেকাতে ভারতকে একটি পছন্দের বিকল্প হিসাবে দেখে আমেরিকা। ফলে, কমিশনের সুপারিশমতো ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থাকে আমেরিকার প্রশাসন নিষিদ্ধ করে দেবে, সেই সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।