গত ১২ অক্টোবর মুম্বইয়ের বান্দ্রায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে মৃত্যু হয়েছে এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকীর৷ তিনি সলমন খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন৷ সেই মৃত্যুর দায় স্বীকার করে নিয়েছে বিষ্ণোই গ্যাং৷ সেদিন রাতে সিদ্দিকী তাঁর ছেলে বিধায়ক জিশান সিদ্দিকীর কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন৷ সেই সময় হঠাৎ তিনজন দুষ্কৃতী এসে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে চলে যায়৷ পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে৷
হোয়্যাটসঅ্যাপ বার্তায় স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, সলমন খান যদি বেঁচে থাকতে চান এবং লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে শত্রুতা মেটাতে চান, তাহলে তাঁকে ৫ কোটি টাকা দিতে হবে৷ টাকা না-দিলে বাবা সিদ্দিকীর থেকেও খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে ভাইজানের ভাগ্যে ৷ এই হুমকি-বার্তা পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। কারা এই হুমকি-বার্তা পাঠাল, এর নেপথ্যে লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি সলমন খানের নিরাপত্তাও নিশ্ছিদ্র করতে উদ্যোগী হয়েছে মুম্বই পুলিশ।
লরেন্স বিষ্ণোই এবং সলমন খানের মধ্যে শত্রুতা দীর্ঘদিনের। কৃষ্
প্রসঙ্গত, বুধবারই সলমনকে খুনের ছক কষার অভিযোগে হরিয়ানার পানিপথ থেকে সুখ ওরফে সুখবীর বলবীর সিংহ নামে এক জনকে আটক করে পুলিশ। সলমন খান খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে ৷ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, এই ব্যক্তি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য।
সলমনের পরিবারের পক্ষ থেকে আপাতত অভিনেতার সঙ্গে দেখা না করার আবেদন জানানো হয়েছে। নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সলমন খানের পানভেলের ফার্ম হাউসের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী । খামার বাড়ির ভিতরে ও বাইরে পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নভি মুম্বই পুলিশ চার্জশিটে দাবি করে, সলমনকে খুন করতে ভাড়াটে খুনিকে ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। এমনকি একে ৪৭, একে ৯২ এবং এম ১৬ -এর মতো আগ্নেয়াস্ত্রও আনানো হয়েছিল পাকিস্তান থেকে। মহারাষ্ট্রের পানভেলে সলমনের খামারবাড়ির কাছেই তাঁকে খুনের পরিকল্পনা ছিল। চার্জশিটে পাঁচ জন ভাড়াটে খুনির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে, যারা লরেন্স গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত। চার্জশিটে আরও বলা হয়েছে, সলমনকে খুনের জন্যই ওই পাঁচ জনকে বাছা হয়েছিল। এই ভাড়াটে খুনিরা পুণে, রায়গড়, নভি মুম্বই, ঠাণে এবং গুজরাটে লুকিয়ে রয়েছে বলেও ওই চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
হোয়্যাটসঅ্যাপ মেসেজের উৎস জানতে তদন্তে নেমেছে মুম্বই পুলিশ৷ অভিনেতার বাড়ির সামনে হাই রেজলিউশনের এআই সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছে মুম্বই পুলিশ৷ জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ‘বিগ বস’-এর শুটিং-এ যান সলমন। তাঁকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেটে সলমনের জন্য নির্দিষ্ট ঘরের মধ্যেই তিনি রয়েছেন। জানা গিয়েছে, ৬০ জন নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে শুটিং করছেন সলমন। শুধু তাই নয়, ‘বিগ বস’-এর সেট মুম্বইয়ের যে এলাকায় রয়েছে, সেটিকেও কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে।