দিওয়ালির সন্ধ্যায় আগুনে পুড়েছিলেন তরুণী। ধর্ষক বাড়ি বয়ে এসে অতর্কিতে পেট্রোল ঢেলে গায়ে আগুন ধরিয়ে পালিয়েছিল। থানায় এফআইআর করার চড়া মাশুল এভাবেই গুনতে হয়েছিল তরুণীকে।
আধপােড়া অবস্থা তাকে ভর্তি করানাে হয়েছিল জয়পুরের হাসপাতালে। দিওয়ালির রাত থেকে সেই হাসপাতালের বার্ন ওয়ার্ডে শুয়ে ফিরে আসার লড়াই চালাচ্ছিলেন সেই তরুণী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে তাকে হার মানতেই হল। মঙ্গলবার জয়পুরের সােয়াই মান সিং হাসাপাতালে মারা গেলেন । অগ্নিদগ্ধ ওই তরুণী।
গত এপ্রিল মাসে স্থানীয় থানায় একটি ধর্ষণের এফআইআর করেছিলেন ওই তরুণী। তারঅভিযােগ ছিল লকডাউনের সময় লেখরাজ তাকে ধর্ষণ করে। তার আগে মাদক জাতীয় কিছু একটা তাকে খাওয়ানাে হয়েছিল। তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়লে সে অবস্থায় তাকে ধর্ষণ করা হয়।
নির্যাতিতার আরও অভিযােগ ছিল, স্মার্ট ফোনে ধর্ষণের ভিডিও তুলে রেখেছিল ধর্ষক। সেই ভিডিও ক্লিপিং দেখিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল শুরু করে সে। নির্যাতিতা এফআইআর করা সত্ত্বেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। গ্রেফতারি এড়াতে লেখরাজ পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত দিওয়ালির রাতে সে বাড়ি ফেরে। কাউকে কিছু না জানিয়ে সােজা চড়াও হয় ধর্ষিতার বাড়িতে। ধর্ষণের অভিযােগ করার সাজা সে নিজে হাতে দেয়। তরুণীকে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।
জয়পুরের ওই ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে। মূল অভিযুক্তের বাবা ছাড়া দুই ভাই রয়েছে। চারজনেই এখন বিচারবিভাগীয় হেপাজতে। তরুণীর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লেখৱাজ ছাড়াও চারজনই কোনও না কোনও ভাবে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে।