ফের করােনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। আগামী ৮ এপ্রিল সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠক করার কথা প্রধানমন্ত্রীর।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সুত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। যেভাবে রােজ দেশে করােনার সংক্রমণ বাড়ছে, এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সংক্রমনে রাশ টানা যায় সেই নিয়ে আলােচনা হতে পারে বৈঠকে।
এমনকি টিকাকরণ কর্মসূচি নিয়েও আলােচনা হতে পারে বৈঠকে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত এই প্রথম দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখের গন্ডি পেরােল। গত ২৪ ঘন্টাতে ভারতে নতুন করে করােনা আক্রান্ত হয়েছেন, ১ লাখ ৩ হাজার ৫৫৮ জন মানুষ।
একদিনে করােনা আক্রান্ত হয়ে মৃত মানুষের সংখ্যা ৪৭৮ জন। করােনাকে জয় করে একদিনে সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যা ৫২ হাজার ৮৪৭ জন। মােট সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ১৬ লাখ ৮২ হাজার ১৩৬ জন। দেশে এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ কেন্দ্রের সংখ্যা ৭ লাখ ৪১ হাজার ৮৩৫ জন। মােট মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ৬৫ হাজার ১০১।
এই পরিস্থিতিতে রব্বিার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি দেশের শীর্ষস্থানীয় আমলা ও স্বাস্থ্যকর্তাদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, এই মুহূর্তে তীরে এসে তরি ডােবালে চলবে না।
সূত্রের খবর, সারা ভারতবর্ষে লকডাউন না করে কীভাবে করােনা প্রভাবিত রাজ্যে এলাকাভিত্তিক কনটেনমেন্ট জোন ও আংশিক লকডাউনের মাধ্যমে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যায়, তারই রাস্তা খুঁজতে বলেছেন মােদি।
আগেরবারে গােটা ভারতবর্ষে লকডাউন জারি করে করােনাকে রােখার ক্ষেত্রে অনেকটা সাফল্য পাওয়া গিয়েছিল ঠিকই কিন্তু তাতে দেশবাসীর আয়ের উপরে অনেকটাই প্রভাব পড়েছিল। তাই বছর ঘুরতে না ঘুরতে করােনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণ করতে যদি করা হয় তাহলে দেশের অর্থনীতিকে আর চাঙ্গা করা যাবে না বলে আশঙ্কা মোদির।
তাঁর মতে এই অবস্থাতে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল ‘জন-আন্দোলন’ ও ‘জন-ভাগিদারি’। যেখানে দেশের মানুষই করােনা প্রতিরােধক নিয়মাবলি মেনে লড়াই করবেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশে বিশেষ প্রচার অভিযান চালাবে কেন্দ্র।
সেই অভিযানে ১০০ শতাংশ মাস্কের ব্যবহার ও সুরক্ষাবিধি মেনে চলার উপরে জনসচেতনতা বাড়ানাের কাজ করা হবে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হবে এই প্রচার। পুনরায় লকডাউন।