দেশব্যাপী সিএএ নিয়ে বিক্ষোভ প্রশমণে ময়দানে নামলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। তিনি টুইটারে সাধারণ মানুষকে এই আইন সমর্থনের আর্জি জানালেন। তাঁর টুইটারে সমর্থনের আর্জি জানিয়ে লিখেছেন, এই আইন সমর্থন করুন, কারণ এটা অত্যাচারিত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। সংশ্লিষ্ট আইনের বিস্তারিত জানার জন্য তিনি সুলুক সন্ধানও দিয়েছেন।
রাজনৈতিক মহলের মতে সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে দেশব্যাপী মানুষের ক্ষোভ সামাল দেওয়ার কাজটা যে সহজ হবে না তা এতদিনে বুঝে গেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। মানুষ তাদের ক্ষোভের প্রকাশ করছে নির্বাচনগুলিতে। যেমনটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনে। ফলে নাগরিকদের অবজ্ঞা করে নাগরিক আইন যে বলবৎ করা সহজ হবে না সেটা বুঝতে পেরেছেন নরেন্দ্র মােদি। তাই এতদিন বিষয়টির প্রতি উদাসীনতা দেখাবার চেষ্টা করলেও শেষে তাঁকেই সাধারণ মানুষের কাছে আর্জি জানাতে মাঠে নামতে হয়েছে।
সংশােধিত আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আগত অমুসলিম তথা হিন্দু, জৈন, পার্শি, শিখ, ক্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়াই লক্ষ্য। কিন্তু এমন ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া ভারতের সংবিধান বিরােধী বলে বিরােধীদের অভিমত। সংবিধানের সমানাধিকার বিরােধী। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ দারুণ ক্ষুব্ধ। নাগরিকত্ব নিয়ে তারা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।
বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব বারবার আবেদন জানিয়ে বলছেন, সিএএ কোনও মানুষের নাগরিকত্ব বিলােপের জন্য নয়। বরং নাগরিকত্বের সিলমােহর দেওয়ার জন্যই এই আইন। কিন্তু কংগ্রেস ও কয়েকটি আঞ্চলিক দল এই আইন নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার ফলেই বিক্ষোভ থামছে না বলে বিজেপির পক্ষে অভিযােগ করা হয়েছে। ক্ষোভ প্রশমনে তাই স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকেই আসরে নামতে হয়েছে। আর সােশ্যাল মিডিয়াকেই বেছে নেওয়া হয়েছে এর সর্বব্যাপীতার জন্যই।