বুধবার ‘সংদস টিভি’র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। এদিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, লােকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
যতদূর জানা গিয়েছে, লােকসভা ও রাজ্যসভা টিভিকে একত্রিত করে সংসদ টিভি আত্মপ্রকাশ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে খরচে কাটছাঁট করে ৬ সদস্যের কমিটিকে দিয়ে সংসদ টিভি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রাক্তন আমলা রবি কাপুরকে চ্যানেলের সিইও করা হয়েছে।
লােকসভা ও রাজ্যসভার কার্যবিবরণী, সরকারি প্রকল্পগুলির রূপায়ন ও বাস্তবায়ন সেই সঙ্গে সরকারের যাবতীয় নীতি এবং দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির বিভিন্ন আঙ্গিক এই বিষয়গুলি সংসদ টিভিতে সম্প্রচারিত হবে। আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক দিবসে এই চ্যানেলের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের জুলাই মাসে লােকসভা টিভির আত্মপ্রকাশ ঘটে। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সাংসদরা সংসদে গিয়ে কী বলছেন তা সকলের জানা উচিত এই ধারনা থেকেই লােকসভা টিভির সূচনা।
লােকসভার অধিবেশন সম্প্রচারের জন্য আলাদ টেলিভিশন চ্যানেল তৈরির পরিকল্পনা ছিল প্রাক্তন অধ্যক্ষ সােমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মস্তিষ্ক প্রসূত। জনগণের কাছে সংসদের কাজকর্ম তুলে ধরার জন্য ২৪ ঘন্টা সম্প্রচার হবে এমন একটি চ্যানেলের পক্ষে সওয়াল করেন সােমনাথ চট্টোপাধ্যায়। এভাবেই রাজ্যসভার জন্য তৈরি হয় রাজ্যসভা টিভি।
সংসদের অধিবেশন ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান এই দুটি চ্যানেলে প্রচারিত হত। আপাতত এই দুটি টিভি একত্রিত হলে যাবতীয় কাজকর্ম লােকসভার সচিবালয় থেকে স্থানান্তরিত করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। সংসদ টিভির পরিচালন ক্ষমতা থাকবে লােকসভার অধ্যক্ষ এবং তার সচিবালয়ের হাতে।
দুটো চ্যানেল এক হয়ে যাওয়ায় ২২৫ থেকে ২৫০ জনের বেশি কর্মীর প্রয়ােজনীয়তা পড়বে না। বর্তমানে রাজ্যসভা টিভিতে ২৫০ জন এবং ১১০ জন কাজ করছেন লােকসভা টিভিতে। আগামী দিনে ৫০ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মী কাজ হারানাের মুখে বলে জানা যাচ্ছে।