সংসদের বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ নিজের বক্তব্যে মোদি সরকারের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের প্রশংসা করেন কোবিন্দ। পাশাপাশি বাংলার অন্যতম ঐতিহ্যের স্বীকৃতির কথা উঠে এল রাষ্ট্রপতির মুখে।
কলকাতার দুর্গোপুজোর ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ার কথা উল্লেখ করলেন কোবিন্দ। কিছুদিন আগেই বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপুজো পেয়েছে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি। বিশ্বের সেরা সংস্কৃতি বিভাগের তালিকায় স্থান হয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের।
গত আগস্ট মাসে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় স্থান পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিল পশ্চিমবঙ্গ। ডিসেম্বরে এসেছে সেই স্বীকৃতি। উল্লেখ্য, ২০০১ সাল থেকে দেশের একাধিক রাজ্যের সংস্কৃতি উৎসব নিয়ে একটি সমীক্ষা শুরু করে ইউনেস্কো।
সেই সমীক্ষা অনুযায়ী হেরিটেজের তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে বাংলার দুর্গাপুজোকে। এর আগে কেরলের মু দিয়ে টু দিয়েছে লোকনৃত্যকে স্বীকৃতি ইউনেস্কো। বাংলার এই স্বীকৃতির কথাই এদিন বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন। এই ঘটনাকে বাংলার জয় বলেই মনে করা হচ্ছে।
এছাড়াও রাষ্ট্রপতি দাবি করেন, কৃষক উন্নয়নে নিরন্তর কাজ করে চলেছে মোদি সরকার। বলেন, রবি শস্য উৎপাদনের সময় সরকার ফসল কিনেছে। তাতে উপকৃত হয়েছে ৫০ লক্ষ কৃষক। খারিফ শস্য উৎপাদনের সময়, যে পরিমান ধান কিনেছে সরকার, তাতে উপকৃত হয়েছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কৃষক।
মোদি সরকারের জনধন যোজনা প্রকল্প ও ইউপিআই বা ডিজিটাল অর্থনীতি প্রসারের প্রশংসা করেন রাষ্ট্রপতি। বলেন, ৪৪ কোটি ভারতবাসীর জনধন অ্যাকাউন্ট থাকায় করোনা কালে তাঁরা সরাসরি অ্যাকাউন্টে টাকা পেয়েছেন।
উল্লেখ করেন, ২০২১-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ৮ লক্ষ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে ইউপিআই মাধ্যমে। কোবিন্দ আরও দাবি করেন, মহামারীর সংকটকালেও দেশের মানুষ অভুক্ত থাকেনি।
তিনি বলেন, দেশের সব মানুষকে বিনমূল্যে রেশন দেয় সরকার জানান, ৮০ কোটি ভারতবাসীকে ১৯ মাস ধরে বিনামূল্যে রেশন দিতে ২ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি খরচ হয়েছে সরকারের।
এছাড়াও সোমবার নিজের ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্মরণে দেশজুড়ে একগুচ্ছ কর্মসূচি পালনের কথা উল্লেখ করেন।