• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

পুলিশকে অস্ত্র সাজের জন্য দেওয়া হয়নি`, এনকাউন্টারে খুনের সপক্ষে জবাব উত্তরপ্রদেশের পুলিশ কর্তার  

লখনউ , ১০ এপ্রিল – খুনের সপক্ষে বললেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিক প্রশান্ত কুমার। একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, `পুলিশকে অস্ত্র সাজের জন্য দেওয়া হয়নি`. উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বড়কর্তা প্রশান্ত কুমার এক সাক্ষাৎকারে এনকাউন্টারে খুনের সপক্ষে এই জবাব দেন। একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, পুলিশকে অস্ত্র দেওয়া হয় কাজ করে দেখাতে। সেটা

লখনউ , ১০ এপ্রিল – খুনের সপক্ষে বললেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিক প্রশান্ত কুমার। একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, `পুলিশকে অস্ত্র সাজের জন্য দেওয়া হয়নি`. উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বড়কর্তা প্রশান্ত কুমার এক সাক্ষাৎকারে এনকাউন্টারে খুনের সপক্ষে এই জবাব দেন। একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, পুলিশকে অস্ত্র দেওয়া হয় কাজ করে দেখাতে। সেটা পোশাকের সাজের অঙ্গ নয়। যদিও তাঁর এও দাবি যে, কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে নিশানা করা পুলিশের নীতি নয়। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্যই আজ উত্তরপ্রদেশে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে বলে পুলিশ আধিকারিক প্রশান্ত কুমারের দাবি। ইংরেজি সংবাদমাধ্যম `দ্য প্রিন্ট`কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজ্যের ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিস বলেন, ধর্ম, জাতপাতের ঊর্ধ্বে উঠে অপরাধীদের কঠোর হাতে দমন করা সম্ভব হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশ এনকাউন্টারের রাজ্য, ইদানিং এমন কটাক্ষ প্রায় সব মহলে প্রচলিত। বেশ কয়েক বছর ধরে অপরাধে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে মৃত্যু হচ্ছে। কয়েকজন গুরুতর জখম হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের খবর, মুখ্যমন্ত্রী পদে যোগী আদিত্যনাথ আসার পর থেকে ২০১৭ সালের ১৯ মার্চ থেকে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ১০ হাজার ৯০০-র বেশি এনকাউন্টার হয়েছে রাজ্যে। প্রশান্ত কুমার জানান, এইসব এনকাউন্টারের গুলিযুদ্ধে পুলিশকর্মীরও মৃত্যু হয়েছে। তাঁর কথায়, আমরাও আমাদের যোদ্ধাদের হারিয়েছি। এটা পেশাগত কাজ। যদি কোনও অপরাধী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়, তাহলে আমরাও জবাব দেব। সেক্ষেত্রে যে কোনও পক্ষেরই হতাহত হতে পারে।

প্রশান্ত কুমার বলেন, প্রতিটি পুলিশ অ্যাকশনের নির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। আমরা সে সমস্ত মেনে চলি। যদি প্রয়োজন হয়,  পুলিশের হাতে ক্ষমতা রয়েছে গুলি চালানোর। সবমিলিয়ে তাঁর দাবি, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। যার ফলে সাধারণ মানুষ শান্তিতে বসবাস করছেন। সেই কারণে রাজ্যে বিনিয়োগের পরিমাণও বেড়েছে। অর্থাৎ তিনি বলতে চেয়েছেন যে, উত্তরপ্রদেশে তোলাবাজি বন্ধ হওয়ায় শিল্পপতিরা নিশ্চিন্তে ব্যবসা করতে আসছেন।

একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের উপরই পুলিশ এনকাউন্টার চালাচ্ছে, এই অভিযোগ অস্বীকার করেন ডিজিপি। অপরাধ দমনে পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে বলে দাবি তাঁর । তিনি বলেন , ‘আমরা কাউকে আলাদা চোখে দেখি না। অপারেশনের সময় দেখা হয় না, তারা কোন ধর্মের বা কোন জাতের।’

উল্লেখ্য, এ বছরের জানুয়ারিতে কুমারকে কার্যনির্বাহী পুলিশ প্রধান করা হয়। আগামী বছরের মে মাসে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা। তার আগে তিনি ডিজি আইন-শৃঙ্খলা এবং ডিজি আর্থিক অপরাধ দমন শাখায় কাজ করেছেন।