জঙ্গি গােষ্ঠীগুলির অর্থের জোগান বন্ধ করতে অভিযানে নামল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা ( এনআইএ )। বুধবার সকাল থেকে উপত্যকা জুড়ে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। হানা দেওয়া হয় বেঙ্গালুরুর একটি ঠিকানাতেও।
এদিন বিকেলে এনআইএর তরফে জানানো হয়েছে তল্লাশি অভিযানে বেশ কিছু অপরাধমূলক নথি এবং বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে দন্ডবিধির অপরাধমূলক বড় ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ইউএপির বিভিন্ন ধারার মামলা রুজু করা হয়েছে।
সংস্থা সূত্রের খবর এ দিন শ্রীনগরের ৯টি এবং বান্দিপোরার একটি ঠিকানায় তল্লশি হয়েছে। এর মধ্যে সংবাদপত্র গ্রেটার কাশ্মীর এর মাকিলানা সংস্থার দফতরের পাশাপাশি কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, দাতব্য প্রতিষ্ঠান এবং ট্রাস্টের কার্যালয় বা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির পরিচালকদের বাড়ি রয়েছে। অভিযানের সময় স্থানীয় পুলিশের সাহায্য নেওয়া হয়েছে।
তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ঐ সংস্থাগুলি নানা সামাজিক প্রকল্প ও ধর্মীয় প্রচারের কাজের নামে বিদেশ থেকে অনুদান সংগ্রহ করত। দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকেও তারা নিয়মিত আর্থিক সাহায্য পেত। সেই টাকার বড় অংশ ঘুরপথে আমি সংগঠন গুলির কাছে পৌঁছে যেত। এনআইএ অভিযানের নিন্দা করে মেহবুবা মুফতি টুইটারে লেখেন, মানবিকতার আন্দোলনের নেতা খুররম পারভেজ এবং গ্রেটার কাশ্মীরের দফতরে এনআইএর এই অভিমান আসলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করার উদ্দেশ্যে ভারত সরকারের দমনপীড়ন। প্রতিবাদীদের ভয় দেখাতে বিজেপি পোষ্য হিসাবে কাজ করছে এনআইএ।