• facebook
  • twitter
Sunday, 10 November, 2024

বিতর্কের মুখে পড়ে সম্প্রচার পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ বিলের খসড়া প্রত্যাহার করল মোদি সরকার

সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পড়ে সম্প্রচার পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ বিলের খসড়া প্রত্যাহার করল মোদি সরকার। সংসদের বাদল অধিবেশনে নয়া এই সম্প্রচার বিলটির খসড়া উত্থাপন করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এই খসড়া বিলের বিরোধিতা করে সরব হন বিরোধীরা। আপত্তি ওঠে সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকেও। সংবাদমাধ্যম এবং সমাজমাধ্যমে লাগাম পরাতেই সরকার এই বিল আনতে চলেছে বলে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা।

সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পড়ে সম্প্রচার পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ বিলের খসড়া প্রত্যাহার করল মোদি সরকার। সংসদের বাদল অধিবেশনে নয়া এই সম্প্রচার বিলটির খসড়া উত্থাপন করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এই খসড়া বিলের বিরোধিতা করে সরব হন বিরোধীরা। আপত্তি ওঠে সংশ্লিষ্ট পক্ষ থেকেও। সংবাদমাধ্যম এবং সমাজমাধ্যমে লাগাম পরাতেই সরকার এই বিল আনতে চলেছে বলে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। নয়া এই বিলের মাধ্যমে সরকার বাক স্বাধীনতা রোধ  করতে চাইছে বলে তোপ দেগেছিলেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে পড়ে সম্প্রচার পরিষেবা  নিয়ন্ত্রণ বিল ২০২৪-এর খসড়া প্রতাহ্যার করে কেন্দ্র। গত বছরের নভেম্বরে এটির খসড়া তৈরি হয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সরকারি এক্স হ্যান্ডেলে এসম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে।

 ২০২৩ সালে সংসদে সম্প্রচার পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ বিল পেশের বার্তা দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। কিন্তু বিল পেশের আগেই তার খসড়া প্রস্তুতির প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। বিরোধীদের অভিযোগ, সংসদে পেশ হওয়ার আগেই প্রকাশ্যে এসে গিয়েছিল খসড়া। 
 
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রের তরফে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ অক্টোবরের পর্যন্ত মন্তব্য ও পরামর্শ পেতে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হল। বিস্তারিত আলোচনার পর নতুন খসড়া বিল প্রকাশিত হবে বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। সোমবার মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, মতামতের ভিত্তিতেই নয়া খসড়া তৈরি কাজ চলছে।
 
তবে এই খসড়া বিল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশে তোপ দেগেছেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদি সরকার প্রাতিষ্ঠানিক সংবাদমাধ্যমের পর এবার সমাজমাধ্যমেও নিজের লাগাম পরাতে চাইছে। সরকারি নিয়ন্ত্রণ বলবৎ করতে সক্রিয় হয়েছে ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও এক্স পোস্টে।  সরকারে কাজের খুঁত, ভুলত্রুটি তুলে ধরছেন জনসমক্ষে। এর ফলে নির্বাচনে বিজেপিকে ফলও ভুগতে হয়েছে। তাই সরকার এবার তাঁদের উপর নজর রাখতে চাইছে।  বিরোধীদের অভিযোগ, নয়া বিল এনে সরাসরি বাকস্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করতে চাইছে সরকার।