বিদেশমন্ত্রকের তলব মলদ্বীপের রাষ্ট্রদূতকে, পাল্টা মলদ্বীপে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব

দিল্লি, ৮ জানুয়ারি –  ভারত-কানাডা কূটনৈতিক বিরোধের পর্যায়ে পৌঁছল ভারত-মলদ্বীপ সংঘাত।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ পর্যটনের প্রচার নিয়ে মলদ্বীপের মন্ত্রীদের বিতর্কিত মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মলদ্বীপের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম সাহিবকে জরুরি তলব করা হয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। সোমবার দিল্লিতে সাউথ ব্লকে দেখা করেন মলদ্বীপের হাই কমিশনার। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর, বর্তমানে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে , তারই পরিপ্রেক্ষিতে মলদ্বীপের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বিদেশমন্ত্রকের কার্যালয় থেকে বেরিয়েও যান তিনি বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যায়।  এই কূটনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যেই এরপর পালটা মলদ্বীপে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয় ।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে মলদ্বীপের মন্ত্রী ও আধিকারিকদের মন্তব্যের জেরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক গত কয়েকদিনেই তলানিতে এসে ঠেকেছে। সম্প্রতি ভারতের ক্ষুদ্রতম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লক্ষদ্বীপে গিয়েছিলেন মোদি। সেই সফরের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই মলদ্বীপের মন্ত্রী আবদুল্লাহ মাহজুম মজিদ সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেন যে পর্যটনস্থল হিসেবে লক্ষদ্বীপের প্রচার করে, প্রধানমন্ত্রী মোদি মলদ্বীপ থেকে পর্যটকদের নজর ঘোরাতে চাইছেন। সমুদ্র সৈকত পর্যটনে ভারতের থেকে অনেক এগিয়ে মলদ্বীপ। পরে মলদ্বীপের মন্ত্রী মালসা শরিফ, মরিয়ম শিউনা ও আবদুল্লাহ মাহজুম ভারত ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেন।অভিযোগ, মলদ্বীপের তিন মন্ত্রী এবং বেশ কিছু  আধিকারিক কিছু ছবিতে মোদিকে ‘পুতুল’ এবং ‘জোকার’ বলে মন্তব্য করেন। ভারত-ইজ়রায়েল সম্পর্ক নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়। পরে অবশ্য বিতর্কের মুখে পোস্টগুলি মুছে দেওয়া হয়।

পরিস্থিতি সামাল দিতে ৩ জন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজু। রবিবারই মলের বিদেশমন্ত্রী মুসা জমির একটি বিবৃতি দিয়ে জানান, মলদ্বীপ সরকার বিদেশী নেতা এবং উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় অবমাননাকর মন্তব্য সমর্থন করে না।  এই সমস্ত মন্তব্য তাঁদের ব্যক্তিগত মত বলেও উল্লেখ করা হয় সেখানে। এরপর বিদেশমন্ত্রক থেকে ডেকে পাঠানো হয় মলদ্বীপের রাষ্ট্রদূতকে।


গোটা বিষয় নিয়ে মলদ্বীপ সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে ভারতীয় হাই কমিশন। এই প্রেক্ষাপটে সোমবার সকালে মলদ্বীপের রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম সাহিবকে তলব করেছিল সাউথ ব্লক। এরপর দিল্লির মতোই মলদ্বীপে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত মুনু মহাওয়ারকে তলব করে মুইজু সরকারের বিদেশমন্ত্রক।