আগামী বছর দেশের পাঁচটি রাজ্যে রয়েছে বিধানসভার নির্বাচন। তাই মঙ্গলবার জাতীয় কংগ্রেসের তরফে নীতি নির্ধারণের বৈঠক করেন দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তিনি সভায় বিক্ষুব্ধদের উদ্দেশ্য করে বলেন–‘ব্যক্তিগত উচ্চাশা পূরণের তুলনায় অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত দলীয় সংগঠন শক্তিশালী করার বিষয়টি’।
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের ভয়াবহ বাড়াবাড়ি’র শিকার লোকজনের জন্য দলের লড়াইয়ের প্রয়াস দ্বিগুণ করা উচিত বলেও অভিমত জানান তিনি। দিনকয়েক আগে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠকে বসেছিল। সেখানে সোনিয়া নাম না করে বিক্ষুব্ধ নেতাদের প্রতি স্পষ্ট বার্তা দেন, তিনি এখনও দলের সভানেত্রী।
তিনি খোলামেলা আলোচনার পক্ষপাতী, তাই তাঁর সঙ্গে মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ করার প্রয়োজন নেই। সেখানে রাহুল গাঁধীকে দলের সভাপতি পদে ফেরানোর দাবি তোলেন কেউ কেউ। তারা দাবিটি বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দেন। এই প্রেক্ষাপটে সনিয়া ফের বিদ্রোহীদের কঠোর বার্তা দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কেননা সনিয়াকে ক্ষোভের সুরে উদ্বগ জানাতে শোনা গিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ একাধিক ইস্যুতে পার্টির অবস্থান, বক্তব্য তৃণমূল স্তরের কর্মীদের কাছেই পৌঁছচ্ছে না। এমনকী রাজ্য নেতাদের মধ্যেও স্বচ্ছতা, সমন্বয়, তালমিলের ঘাটতি আছে। রাহুলও ছিলেন এআইসিসি দপ্তরে অনুষ্ঠিত আজকের বৈঠকে।
হাজির ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদকরা, ইনচার্জ ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিরা। দলের নতুন সদস্যপদ সংগ্রহ অভিযানের কৌশল নির্ধারণেও আলোচনা হয়। আগামী ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে এই প্রক্রিয়া চলবে সামনের বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
উদ্বোধনী ভাষণে সনিয়া বলেন, ‘আমি ফের শৃঙ্খলা, ঐক্যের অতি আবশ্যিক প্রয়োজনীয়তায় গুরুত্ব দিতে চাই। সংগঠন শক্তিশালী করাই আমাদের প্রত্যেকের কাছে মুখ্য বিষয় হওয়া উচিত। ব্যক্তিগত আশাআকাঙ্খার চেয়েও বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত এর ওপর। সঙঘবদ্ধ ও ব্যক্তিগত সাফল্য, দুটিই এর মধ্যে নিহিত রয়েছে’।
সনিয়ার কথায়, ‘আমাদের গণতন্ত্র, সংবিধান ও কংগ্রেসের আদর্শ রক্ষার লড়াই শুরু হয় মিথ্যা প্রচারকে চিহ্নিত করা, প্রতিরোধে পুরোপুরি প্রস্তুতি দিয়ে’। তিনি আরও বলেন, বিজেপি, আরএসএসের পৈশাচিক প্রচারকে আদর্শগত ভাবে ঠেকাতে হবে। এতে জয়ী হতে গেলে মানুষের সামনে ওদের মিথ্যাচারকে উন্মোচিত করতে হবে ’। এইভাবে জাতীয় স্তরে সংগঠন বাড়াতে নির্দেশ দেন তিনি।