• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

কৃষি মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মিলল না সমাধান, কৃষক বিক্ষোভের দিল্লি, অবরুদ্ধ

কৃষি আইন বাতিল নিয়ে বৈঠকে আলােচনা হয় এবং কৃষকরা নিজেদের দাবি স্পষ্ট করে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী সামনে রাখে।কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হন কৃষিমন্ত্রী।

কৃষক আন্দোলন (ছবি: SNS Web

মঙ্গলবার বিজ্ঞানভবনে কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তােমর। কিন্তু এই বৈঠকেও কোন সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। কৃষি আইন বাতিল নিয়ে বৈঠকে আলােচনা হয় এবং কৃষকরা নিজেদের দাবি স্পষ্ট করে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী সামনে রাখে।
এমনকি কেন্দ্রীয় কমিটি গড়ে আলােচনার সময় এখন নেই এমনটাই জানানাে হয় কৃষকদের পক্ষ থেকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনাে রকম কোনাে সমাধান সূত্র এই বৈঠক থেকে বার হয়নি বলে জানা গেছে। আগামী ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার আবারাে বৈঠকে বসতে চলেছে কৃষকদের প্রতিনিধি এবং সরকারের প্রতিনিধি।

সােমবার কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, গত ১৩ নভেম্বর আমাদের কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা ছিল এবং ৩ ডিসেম্বর আমরা আলােচনার দিন স্থির হয়। কিন্তু কৃষকরা এখন প্রতিবাদের মেজাজে। তাই দিন দুয়েক আগেই বৈঠকের আহ্বান জানানাে হয়। কৃষকরা যাতে প্রতিবাদের পথ থেকে সরে এসে আলােচনা এবং কথাবার্তার মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান করেন সেই জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে সােমবার কৃষি মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর রবিবার কেন্দ্রের সামনে রাখা শর্তসাপেক্ষে আলােচনায় প্রস্তাবও ফিরিয়ে দেয় কৃষকরা। তারপর এক প্রকার বাধ্য হয়েই কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি হন কৃষিমন্ত্রী।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে নতুন কৃষি আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় কৃষকেরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। এবার এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনের পথে নেমেছে কৃষক সংগঠনগুলি। দিল্লির পাঁচদিনব্যাপী আন্দোলন চালাচ্ছে কৃষকেরা। কিন্তু তাদের দাবি মানতে নারাজ মােদি সরকার।

সােমবারের আলােচনার পরেও কোনাে সমাধান সূত্র মেলেনি জানা গেছে এমনটাই।

অন্যদিকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমশ সুর চড়াচ্ছে বিরােধীরা।

মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী টুইট করে জানান, অন্নদানকারীরা প্রতিবাদ করছে, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেন যারা তারা টিভিতে বক্তৃতা দিচ্ছে।

তিনি লেখেন, যারা মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেন তারা রাস্তায় প্রতিবাদ করছে। যারা মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেন তারা টিভিতে বক্তৃতা দিচ্ছে।

এখানেই শেষ নয়, রাহুল গান্ধী আরও বলেন, আমরা কৃষকদের কাছে ঋণী। এই ঋণ মুক্ত আমরা তখনই মুক্ত হতে পারি যখন অপমান, লাঠিপেটা, মারধর করার পরিবর্তে তাদের জন্য সুবিচারের জন্য আমরা দাবি করবো। যারা আসন দখল করে রয়েছেন তাদের নিজের অহংকার ত্যাগ করে মাটিতে নেমে নামা উচিত এবং কৃষকদের অধিকার পুনরুদ্ধার করা উচিত।

সােমবার টুইট করে তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, মােদী-অমিত শাহ কৃষি এবং কৃষকদের নিয়ে যখন কিছু বলতে চাইবেন তখনই মনে করিয়ে দেব ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয়। দ্বিগুণ করার কথা বলেছিল মােদী সরকার। কিন্তু বর্তমান হারে চললে ২০২৮ সালের আগে এই আয় দ্বিগুণ হবে না।

কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় তিন গুণ বেড়েছে কৃষকদের আয়। প্রতিশ্রুতি নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কাজ করে দেখিয়েছে। মােটের ওপর ঘরে বাইরে চাপের মুখে সরকার। কিন্তু সােমবারে কৃষি মন্ত্রীর সঙ্গে কৃষকদের আলােচনার পরেও কোনাে সমাধান হয়নি। এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদী দাবি করেছেন কৃষকদের পথভ্রষ্ট করছে কিছু মানুষ।