কোভিডের সংক্রমণ ক্রমশ কমছে। সে কারণে গত দু’বছর ধরে দেশে যে কোভিডবিধি জারি ছিল তা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।
যদিও মাস্ক পরা এবং শারীরিক দূরত্বের বিষয়টি আগের মতোই বহাল থাকবে। ফলে ঘরবন্দি জীবন আর নয়। নাইট কারফিউ আর নয়। কন্টেনমেন্ট জোন আর নয়।
দু’বছর বাদে দেশের সমস্ত করোনাবিধি প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
আগামী ৩১ মার্চ থেকে উঠে যাচ্ছে করোনা সংক্রান্ত সমস্ত রকম বিধিনিষেধ। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে মাস্ক পরা এবং শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখা এখনও বাধ্যতামূলক।
উল্লেখ্য, দু’বছর আগে ২০২০ সালের ২৪ মার্চ করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে প্রথমে লকডাউন ঘোষণা করে কেন্দ্র।
তারপর প্রায় বছর খানেক কড়া নিষেধাজ্ঞার মধ্যে কাটাতে হয়েছে দেশবাসীকে। তারপর ধীরে ধীরে বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও দেশের কোনও কোনও প্রান্তে এখনও বেশ কিছু নিয়ম জারি রয়েছে। কোথাও কোথাও রয়েছে নাইট কারফিউও।
কিন্তু আগামী ৩১ মার্চ থেকে সবই উঠে যাচ্ছে। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, গত ২৪ মাসে মহামারী নিয়ন্ত্রণ করার মতো বিভিন্ন রকম বন্দোবস্ত সরকার করে ফেলেছে।
তা ছাড়া সাধারণ মানুষের মধ্যেও এখন সচেতনতার স্তর আগের থেকে অনেক বেশি। তা ছাড়া রাজ্য সরকার বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিও মহামারী মোকাবিলায় নিজেদের মতো করে প্রস্তুত।
তা ছাড়া গত সাত সপ্তাহ টানা কমছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব বুঝিয়ে দিয়েছেন, সবদিক বিবেচনা করেই করোনা বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বস্তুত, এই মুহূর্তে দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ তলানিতে। কমছে দৈনিক মৃত্যু। অ্যাকটিভ কেসও নামমাত্র। বলতে গেলে সার্বিকভাবেই করোনা থেকে মুক্তির পথে দেশ।
বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৭৭৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬২ জন। বর্তমানে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২৩ হাজার ৮৭। আপাতত দেশে অ্যাকটিভ কেসের হার ০.০৫ শতাংশ।