দিল্লি, ২৭ জুন – আগামী ১ জুলাই থেকে আমূল বদলে যাচ্ছে দেশের অপরাধ সংক্রান্ত আইন। ওই দিন থেকেই বাতিল হয়ে যাবে ব্রিটিশ সরকারের তৈরি ফৌজদারি আইন। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধীরা আগেই আপত্তি তুলেছিল। ভারত সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। ২৭ জুন, বৃহস্পতিবার সংসদের উভয় সভার যৌথ অধিবেশনের ভাষণে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ঘোষণা করেন, ১ জুলাই থেকে ন্যায় সংহিতা চালু হবে। তিনি বলেন, ‘১ জুলাই থেকে ন্যায় সংহিতা চালু হবে। ব্রিটিশ আমলে গোলামি ব্যবস্থায় শাস্তির বিধান ছিল। সেই আইন বদলের সাহস দেখিয়েছে সরকার। এবার শাস্তির বদলে ন্যায়ের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে। সিএএ-র অধীনে নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে।’
মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর এই নতুন আইনের কঠোর ধারাগুলির বিরুদ্ধে আপত্তি তুলে প্রচার শুরু করেছে। তারা নাগরিকদের প্রতিবাদ করার ডাক দিয়েছে। পাশাপাশি একাধিক মানবাধিকার সংগঠন এই নতুন আইনকে বিপজ্জনক বলে বাতিলের দাবি তুলেছে। তাদের বক্তব্য, ব্রিটিশ আইনে গ্রেপ্তারের পর আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে অভিযুক্তকে সর্বোচ্চ ১৪ দিন হেফাজতে রাখতে পারে পুলিশ। নতুন আইনে বলা হয়েছে ৬০ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্তকে হেফাজতে রাখতে পারবে। অনেকেই মনে করছেন, এটা মানবাধিকার কেড়ে নেওয়ার বড় নজির।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ‘তিন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এখনই কার্যকর করবেন না’, এই মর্মে কয়েক দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, নৈতিকভাবে কেন্দ্রে এই আইন এখনই কার্যকর করা উচিত নয়। কিন্তু সেই আপত্তি উড়িয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। ১ জুলাই থেকে ওই তিন আইন কার্যকর হবে দেশজুড়ে বলে জানানো হয়েছিল। ২৭ জুন সংসদে ভাষণেও বিষয়টিতে সিলমোহর দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।