দাদার লালসার শিকার বোন। কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় মায়ের দায়ের করা মামলায় চলছে তদন্ত। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের সুরাতে। নিজের ১৬ বছরের দাদা ধর্ষণ করে ১৩ বছরের কিশোরীকে। কয়েকদিন আগে পেটের যন্ত্রণায় ছটফট করায় কিশোরীকে নিয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হন তাঁর মা। আর সেখানেই জানতে পারেন, ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সে। যা শুনে অবাক হন ওই কিশোরীর মা।
এরপরই কিশোরীকে তার মা জিজ্ঞাসাবাদ করেন, কার হাতে হেনস্তার শিকার হয় সে ? জেরায় সে স্বীকার করে নেয়, নিজের দাদার হাতেই হেনস্তার শিকার সে। সে জানায়, বলপূর্বক তার দাদা তাকে দুই দুবার ধর্ষণ করে। আর যার ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে কিশোরী। গোটা ঘটনা শুনে কিশোরীর মা থানায় গিয়ে তাঁর ছেলের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতেই পুলিশের পক্ষ থেকে পকসো আইনে মামলা দায়ের করে চলছে তদন্ত।
কিশোরী জানায়, বেশ কয়েক মাস আগে দাদা তাকে যৌন সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তাতে কিশোরী রাজি না হওয়ায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে দাদা। এমনকি ঘটনা সম্পর্কে সে যদি কাউকে কিছু বলে, তাহলে প্রাণে মারার হুমকি পর্যন্ত দেয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কিশোরীর মা-বাবা দিনমজুর। দু’জনেই প্রতিদিন কাজের জন্য বেরিয়ে যান। ঘরে অনেকটা সময় একা থাকে ভাই-বোন। আর সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে নিজের বোনের উপর এমন পাশবিক অত্যাচার চালায় ওই কিশোর।