সুপ্রিম কোর্টে আবার পিছিয়ে গেল স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ মামলায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। এসএসসি নিয়োগ মামলায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট , তাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শিক্ষাকর্মীরা। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুনানির তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার অনেকগুলি মামলার শুনানি থাকায় এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেল বাতিল করার নির্দেশ দেয়। এর ফলে ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দে।এর ২ দিন পরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের একাংশ।রাজ্য ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদও মামলা দায়ের করে। রাজ্যের যুক্তি ছিল, যেখানে ৫ হাজার জনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে , তার জন্য প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি কেন বাতিল হবে ? চাকরিহারাদের মধ্যেও এ নিয়ে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত সব মামলাই শোনার কথা ছিল বেঞ্চের।
লোকসভা নির্বাচনের আগে এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। পরের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি জানান, তাঁর বেঞ্চ আগে চাকরি বাতিল মামলার সঙ্গে যুক্ত পাঁচ পক্ষের – রাজ্য, এসএসসি, সিবিআই, মূল মামলাকারী, এবং যাঁদের চাকরি নিয়ে বিতর্ক তাঁদের বক্তব্য শুনবে। তারপর এ ব্যাপারে পরবর্তী নির্দেশ দেবে। যদিও তারপর একাধিকবার শুনানি পিছোয়।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এসএসসি মামলার শুনানি ছিল। প্রধান বিচারপতি জানান, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর এই মামলা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সে দিন অগ্রাধিকার দিয়ে এসএসসি মামলার শুনানি হবে।