কাটতে চলেছে পূর্ব লাদাখে চিন ভারত অচলাবস্থা। গতকালই রাজ্যসভায় এমন দাবি করেছিলেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এবার সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে বেনজির আক্রমণ করলেন রাহুল গান্ধি। তিনি অভিযােগ করেন, মােদি সরকার ভারতের একটি অংশকে চিনের হাতে তুলে দিয়েছে। বিরােধীদের তা নিয়ে প্রশ্ন করতে দিচ্ছে না।
শুক্রবার রাহুল জানান, প্যাঙ্গং লেকেরদক্ষিণ ও উত্তর প্রান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেবে দুই দেশ। গতকাল জানিয়েছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ আরও বলেন, এবার থেকে ফিঙ্গার থ্রি এলাকায় স্থায়ী ঘাঁটিতে থাকবে ভারতীয় সেনা। কিন্তু ভারতের আসল এলাকা ফিঙ্গার ফোর। সেই অঞ্চল অবশ্যই ভারতকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
এদিন নিজের বক্তব্যে মােদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন রাহুল। তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভিতু। তিনি চিনের মােকাবিলা করতে ভয় পান। উনি আমাদের সেনাদের আত্মবলিদানকে অসম্মান করেছেন।
প্রসঙ্গত নরেন্দ্র মােদির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে গতকাল ‘হাম দো হামারা দো’ উল্লেখ করেছিলেন রাহুল গান্ধি। সংসদে কটাক্ষের সুরে কংগ্রেস নেতা বলেছিলেন, আমরা পরিবার পরিকল্পনার জন্য বলিস হাম দো হামারা দো। এই সরকারের কাছে ওই স্লোগানের নতুন মানে আছে।
দেশ চালাচ্ছেন তার জন্য– হামা দো, হামারা দো। যদিও কারও নাম করেননি রাহুল গান্ধি। তিনি বলেন, আপনাদের মনে হয় এটা কৃষক বিক্ষোভ। কিন্তু আপনারা ভুল ভাবছেন। এটা ভারতের আন্দোলন। কৃষকরা শুধুমাত্র সামনে রয়েছেন।
উল্লেখ্য এর আগেও একাধিকবার কৃষক ইস্যু থেকে শুরু করে সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে সােচ্চার হয়েছেন সােনিয়া-পুত্র। দিল্লি সীমানায় কৃষকদের বিক্ষোভস্থল যেভাবে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরেছে কেন্দ্র , তাতে ভারতের মর্যাদা বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছে। এভাবেই বারবার সােচ্চার হয়েছেন কংগ্রেস নেতা।
দিল্লি সীমানায় কৃষকদের বিক্ষোভস্থলে কোথাও পরিখা কাটা হয়েছে। আবার কোথাও কংক্রিটের স্ল্যাব দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সরকারকে বিধে রাহুল টুইটারে লিখেছিলেন — সেতু তৈরি করুন, দেওয়াল নয়। কংগ্রেস সাংসদ বলেছিলেন– যেভাবে আমরা কৃষকদের প্রতি আচরণ করছি, যেভাবে সাংবাদিকদের প্রতি আচরণ করা হচ্ছে তাতেও দেশের মর্যাদা ধাক্কা খেয়েছে।