• facebook
  • twitter
Saturday, 28 September, 2024

 জম্মু-কাশ্মীরে ভোটের কমিশনের ফুল বেঞ্চ যাচ্ছে শ্রীনগরে 

শ্রীনগর, ৩ অগাস্ট – জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভার ভোট দ্রুত সেরে ফেলতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। সুপ্রিম কোর্ট ৩০ সেপ্টেম্বেরের মধ্যে ভোট পর্ব শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন দ্রুত ভোট সম্পন্ন করে ফেলতে চায়। আগামী ৭ ও ৮ আগস্ট মুখ্য নির্বাচন কমিশনার  রাজীব কুমারের নেতৃত্বে কমিশনের ফুল বেঞ্চ শ্রীনগরে যাচ্ছে।           কমিশন সেখানে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি সেনা, আধা  সেনা, পুলিশ এবং রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবে। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা।   মে আসে লোকসভা নির্বাচনে জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। জঙ্গিদের হুমকি উপেক্ষা করে বিপুল সংখ্যায় ভোট দেন সেখানকার ‍মানুষ। ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের দিনই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার আশা প্রকাশ করেছিলেন, এরপর উপত্যকায় নির্বিঘ্নে বিধানসভার ভোট করানো সম্ভব হবে। সম্প্রতি জঙ্গিদের হামলায় বার বার রক্তাক্ত হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর।     শহিদ হয়েছেন জওয়ানরা। প্রাণ গিয়েছে সাধারণ মানুষের। হামলার ঘটনা ঠেকানো না যাওয়ায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও। প্রশাসন মনে করছে, ভোট আটকাতেই বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং জঙ্গি সংগঠনগুলি হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছরই বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে উপত্যকায়।   কাশ্মীরের আঞ্চলিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপি এবং জাতীয় দল কংগ্রেস অনেক দিন ধরেই বিধানসভা ভোটের দাবি জানিয়ে আসছিল। বিধানসভা ভোটের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীর উপত্যকায় যেভাবে জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়ছে, তাতে নিরাপত্তা বাহিনীর চিন্তা বেড়েছে।     

শ্রীনগর, ৩ অগাস্ট – জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভার ভোট দ্রুত সেরে ফেলতে চাইছে নির্বাচন কমিশন। সুপ্রিম কোর্ট ৩০ সেপ্টেম্বেরের মধ্যে ভোট পর্ব শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। তবে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন দ্রুত ভোট সম্পন্ন করে ফেলতে চায়। আগামী ৭ ও ৮ আগস্ট মুখ্য নির্বাচন কমিশনার  রাজীব কুমারের নেতৃত্বে কমিশনের ফুল বেঞ্চ শ্রীনগরে যাচ্ছে।           কমিশন সেখানে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি সেনা, আধা  সেনা, পুলিশ এবং রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবে। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা।
 
মে আসে লোকসভা নির্বাচনে জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপদে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। জঙ্গিদের হুমকি উপেক্ষা করে বিপুল সংখ্যায় ভোট দেন সেখানকার ‍মানুষ। ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের দিনই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার আশা প্রকাশ করেছিলেন, এরপর উপত্যকায় নির্বিঘ্নে বিধানসভার ভোট করানো সম্ভব হবে। সম্প্রতি জঙ্গিদের হামলায় বার বার রক্তাক্ত হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর।     শহিদ হয়েছেন জওয়ানরা। প্রাণ গিয়েছে সাধারণ মানুষের। হামলার ঘটনা ঠেকানো না যাওয়ায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও। প্রশাসন মনে করছে, ভোট আটকাতেই বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং জঙ্গি সংগঠনগুলি হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছরই বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে উপত্যকায়।
 
কাশ্মীরের আঞ্চলিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপি এবং জাতীয় দল কংগ্রেস অনেক দিন ধরেই বিধানসভা ভোটের দাবি জানিয়ে আসছিল। বিধানসভা ভোটের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মীর উপত্যকায় যেভাবে জঙ্গি কার্যকলাপ বাড়ছে, তাতে নিরাপত্তা বাহিনীর চিন্তা বেড়েছে।        জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে উপত্যকায় মোতায়েন করা বাহিনীও পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী ৮ আগস্ট ভূস্বর্গে যাচ্ছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার, কমিশনার গণেশ কুমার ও এসএস সান্ধু। ১০ তারিখ পর্যন্ত তাঁরা থাকবেন সেখানে। সমস্ত কিছু পর্যবেক্ষণ করবেন। জানা  গিয়েছে,      ১০ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা জম্মুতে যাবেন। সেখানকার প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হবে।     আলোচনার পর ভোট প্রস্তুতি নিয়ে জম্মুতেই একটি সাংবাদিক সম্মেলন করবেন তাঁরা। মনে করা হচ্ছে, সেখানেই ভোটের দিনক্ষণ স্থির হতে পারে।
 
প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরে পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রুখতে এবার উপত্যকায় ৫০০ প্যারা স্পেশ্যাল ফোর্স কমান্ডো মোতায়েন করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। উল্লেখ্য, আগামী ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পঞ্চম বর্ষপূর্তি। পাঁচ বছর আগে  এই দিনেই উপত্যকার বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। পাশাপাশি রাজ্যের মর্যাদা ছিনিয়ে নিয়ে এটিকে পৃথক দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়া হয়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পর থেকে অনেক বিক্ষোভ-প্রতিবাদ হয়েছে ভূস্বর্গে। অশান্তি থামাতে বিপুল সংখ্যক সেনা সেখানে মোতায়েন করা হয়।বন্ধ রাখা হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও।          
 
লোকসভা ভোটের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কথা দেন বিধানসভা ভোট করার পাশাপাশি জম্মু- কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হবে। ২০১৯ থেকে জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল। সেখানে শেষবার বিধানসভা ভোট হয়েছিল ২০১৪-তে।