প্রতিকূলতার সঙ্গে অসম লড়াই করতে করতে এ এক এগিয়ে যাওয়ার গল্প। স্বপ্নপুরণের গল্পও বটে। এই অসম লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত দারিদ্র হার মানে, জয়ী হয় স্বপ্ন। যে গল্পের শেষে পেট্রোল পাম্প কর্মীর মেয়ে জায়গা করে নেয় কানপুর আইআইটি’র মতো দেশের প্রথম সারির কারিগরি প্রযুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
অন্ধকার সরে গিয়ে এভাবেই প্রান্তজনেরা আলোয় ফেরে। এই অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরার ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে সমাজের বিশিষ্টজনদের। সে কারণে যে সংস্থায় বাবা কর্মরত, সেই সংস্থার (ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন) চেয়ারম্যান শ্রীকান্ত মাধব বৈদ্যর মনকে নাড়া দেয় এবং তিনি কর্মীর মেয়ের সাফল্যের আনন্দ ভাগ করে নিতে ট্যুইট করে বসেন।
অজানা আনন্দে তিনিও অংশীদার হতে চান পরোক্ষভাবে সেই স্বপ্নপূরণের গল্পের। কেরলের কন্যা আর্যা রাজাগোপালনের সঙ্গে পোস্ট করেছেন তাঁর গর্বিত বাবার ছবি ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান শ্রীকান্ত মাধব বৈদ্য।
ট্যুইটারে শ্রীকান্ত লিখেছেন, ‘ইন্ডিয়ান অয়েলের গ্রাহক পরিষেবাকারী রাজাগোপালনের মেয়ে আর্যার অনুপ্রেরণামূলক কাহিনি জানালাম। আইআইটি কানপুরে প্রবেশাধিকার পেয়ে সে আমাদের গর্বিত করেছে। আর্যা এগিয়ে যাও , শুভেচ্ছা রইল।’ আর্যার এই সাফল্য ছুঁইয়ে গিয়েছে পেট্রোলিয়াম পরিবারের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাদেরকে।
সে কারণেই কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরীও দেরি করেননি ট্যুইটারে আর্যাকে শুভেচ্ছা জানাতে। তিনি ট্যুইটে লেখেন, ‘সত্যিই এটি হৃদয়গ্রাহী ঘটনা। আর্যা এবং তার বাবার জন্য দেশের শক্তিক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত সকলেই গর্বিত। বাবা এবং মেয়ের এই উদাহরণ নতুন ভারতের সামনে অনুপ্রেরণা। শুভেচ্ছা রইল।’
প্রায় ১৫ বছর ধরে আইওসি’র পেট্রোল পাম্পের কর্মী রাজাগোপালন। এ যেন একটা নুন আনতে পান্তা ফুরোয় এমনই অভাবের সংসার। তবু মেয়েকে কোনওদিনই সে অভাব বুঝতে দেননি বাবা।
নিজে উচ্চপদে চাকরি করার সুযোগ পাননি, তা বলে হার না মানা মনোভাবকে সঙ্গী করে তিনি হাসিমুখে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে মেয়েকে এগিয়ে দিয়েছেন জীবনযুদ্ধে সফল হওয়ার জন্য।
অবশেষে দারিদ্রের অন্ধকার দূরীভূত হয়ে আলোয় ভাসছে কেরলের আর্যার কুটির, যা অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে সমস্ত প্রতিকুলতাকে হেলায় পিছনে ফেলে রেখে জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে।