• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ‘দিল্লি চলো’ অভিযান স্থগিত রাখল কৃষকরা

দিল্লি, ১৯ ফেব্রুয়ারি: আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযান স্থগিত রাখল আন্দোলনরত কৃষকরা। আজ, সোমবার কৃষকদের নেতা সর্বান সিং পান্ধের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চতুর্থ দফার আলোচনায় কিছুটা সমাধানসূত্র পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্র সরকার তাঁদের দাবি পূরণে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেজন্য আপাতত আন্দোলন স্থগিত রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গভীর রাত পর্যন্ত দীর্ঘ আলোচনার

দিল্লি, ১৯ ফেব্রুয়ারি: আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কৃষকদের দিল্লি চলো অভিযান স্থগিত রাখল আন্দোলনরত কৃষকরা। আজ, সোমবার কৃষকদের নেতা সর্বান সিং পান্ধের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চতুর্থ দফার আলোচনায় কিছুটা সমাধানসূত্র পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্র সরকার তাঁদের দাবি পূরণে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেজন্য আপাতত আন্দোলন স্থগিত রাখা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, গভীর রাত পর্যন্ত দীর্ঘ আলোচনার পর আজ ভোরে সমাধান সূত্র মেলে। কৃষকদের দাবি মানতে সম্মত হয়েছে কেন্দ্র। আপাতত পাঁচটি ফসলের ওপর এমএসপি বা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য চালু করবে মোদি সরকার। কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে প্রণয়ন করা হবে আইন। লোকসভা ভোটের মুখে কৃষকদের আন্দোলন যাতে বৃহত্তর আকার ধারণ না করে, সেজন্য আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বার বার বৈঠকে বসেন তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, পীযুষ গোয়েল ও নিত্যানন্দ রাই। চতুর্থ দফার বৈঠকে তাঁরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আগামী পাঁচ বছরের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল কেনা হবে। এই ফসলগুলির মধ্যে রয়েছে, অড়হর, তুর, উরদ, ভুট্টা ও তুলা। কৃষকদের সঙ্গে ন্যাশনাল কোঅপারেটিভ কনজিউমার ফেডারেশন, ন্যাশনাল এগ্রিকালচার কোঅপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া এবং কটন কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার মতো সরকারি সংস্থাগুলি চুক্তিবদ্ধ হবে।

এদিকে কৃষকদের দাবি মতো এই প্রতিশ্রুতিগুলি পাওয়ার পরই পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্ত থেকে কৃষকদের আন্দোলন আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, ১৯ ও ২০ তারিখ কৃষকদের ফোরামে কেন্দ্রের এমএসপি-র প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করা হবে। সকলের সম্মতিতেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আন্দোলনরত কৃষকদের সংগঠন। যদি সেই আলোচনায় সমাধানসূত্র না মেলে, তাহলে ২১ তারিখ থেকে কৃষকরা ফের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন শুরু করবেন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও কৃষকদের দাবি মেনে নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, পাঁচ বছরের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে এই ফসল কেনা হবে। তবে কোন ফসল কত পরিমাণে কেনা হবে, সেবিষয়ে কোনও উর্ধ্বসীমা ধার্য করা হয়নি। এই ফসল কেনা-বেচার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি স্বতন্ত্র পোর্টালও চালু করা হবে। মন্ত্রী দাবি করেন, গতকালের বৈঠকের পর কৃষকরা দিল্লি চলো অভিযান আপাতত স্থগিত রেখেছে।