• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

মূল্যবােধের সংকট ইস্তফা দিলেন নির্বাচন কমিশনের কৌঁসুলি

এবার কমিশনের অন্দরেই মতপার্থক্য দেখা দিল। প্রশ্ন এল মূল্যবােধকে ঘিরে।২০১৩ সাল থেকে দেশের শীর্ষ আদালতে নির্বাচন কমিশনের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন মােহিত।

আইনজীবী মােহিত ডি রাম (ছবিঃ SNS)

‘মূল্যবােধ’ এর প্রশ্ন নির্বাচন কমিশনের কৌঁসুলির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আইনজীবী মােহিত ডি রাম। শুক্রবার তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। ইস্তফাপত্রে উল্লেখ করেছেন, বর্তমানে কমিশন যেভাবে কাজ করছে তার সঙ্গে নিজের মূল্যবােধ খাপ খাচ্ছে না। সেকারণেই ডি রাম ইস্তফা দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

করােনা আবহে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা। কমিশন একটি বিশেষ দলের হয়ে কাজ করছে, এমন অভিযােগ উঠেও এসেছে কেন্দ্র বিরােধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির কাছ থেকে। এবার সেই কমিশনের অন্দরেই মতপার্থক্য দেখা দিল। প্রশ্ন এল মূল্যবােধকে ঘিরে।

২০১৩ সাল থেকে দেশের শীর্ষ আদালতে নির্বাচন কমিশনের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন মােহিত। সুপ্রিম কোর্টে কমিশনের যে প্যানেল রয়েছে মােহিত ডি রাম তার অন্যতম প্রধান মুখ। এদিন কমিশনের আইন বিভাগের পরিচালন কর্তার কাছে তার ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন।

তবে, কমিশনের সঙ্গে কাজ করার যে সুযােগ। তিনি পেয়েছেন তার জন্য চিঠিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এই আইনজীবী। কমিশন বিজেপি’র প্রতি বিশেষভাবে ‘সদয়’ এমনই অভিযােগ দেশজুড়ে। করােনা বিধিকে তােয়াক্কা না করে যেভাবে নির্বাচনী জনসভা এবং প্রচার হয়েছে তা নিয়েও মাদ্রাজ হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়েছে কমিশন।

মাদ্রার্জ হাইকোর্ট তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন, মানুষের জীবনের গুরুত্ব বুঝতে না পারা কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কেন খুনের মামলা দায়ের করা হবে না, এই প্রশ্ন তুলেও ভসনা করা হয়েছিল।

যদিও পরবর্তী সময়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয় কমিশন। মৌখিক রায় যাতে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত না হয় তা নিশ্চিত করতে কমিশন সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। কিন্তু তা নিয়েও শীর্ষ আদালতে ভংসিত হতে হয় কমিশনকে। এমনই এক আবহে এবার কমিশনের সঙ্গে পেশাগত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন মােহিত ডি রাম।