হাথরাসের দলিত যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়নি ফরেনসিক রিপাের্টের ভিত্তিতে এমনটাই জানালেন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক সিনিয়র আধিকারিক। তিনি বলেন, ফরেনসিক রিপাের্ট প্রকাশ হওয়ার আগেই, একদল মানুষ সংবাদ মাধ্যমকে ব্যবহার করে প্রশাসন ও পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছে।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক সিনিয়র আধিকারিক জানান, ‘গুরুতর জখম ১৯ বছরের ওই দলিত যুবতীকে ধর্ষণ করা হয়নি। তাকে যেহেতু বেধরক মারধর করা হয়েছে, ঘাড়ে গুরুতর চোট ও আতঙ্কের কারণে ওই যুবতীর মৃত্যু হয়েছে’।
ফরেনসিক ল্যাবরেটরির রিপাের্টের উল্লেখ করে অতিরিক্ত ডিজি (আইন শৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার বলেন, ‘পুলিশের হাতে ফরেনসিক ল্যাবরেটরির রিপাের্ট এসেছে। ওই রিপাের্টে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে, মেয়েটির নিথর দেহ থেকে সংগৃহীত নমুনায় কোনও শুক্রাণু পাওয়া যায়নি। তাই কোনও ধর্ষণ বা গণধর্ষণের ঘটনা হয়নি। পাশাপাশি, ওই যুবতী পুলিশকে দেওয়া বয়ানে কোথাও ধর্ষণের কথা উল্লেখ করেনি। তবে বেধরক মারধর করার উল্লেখ করা হয়েছে। ঘাড়ে গুরুতর চোট ও আতঙ্কের কারণে ওই যুবতীর মৃত্যু হয়েছে’।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এক অফিসার বলেন, ‘সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট ও জাতপাত ভিত্তিক হিংসার পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বেশকিছু মানুষ ঘটনার ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এখন আমরা তাদেরকে শণাক্ত করার চেষ্টা করব, যারা সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করে জাতপাতভিত্তিক হিংসার পরিবেশ তৈরি করছেন’।
তিনি বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যােগী আদিত্যনাথ ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেছেন। যারা ঘটনায় জড়িত তাদেরকে রেহাই দেওয়া হবে না। পুলিশ ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে– কে বা কারা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে’।