• facebook
  • twitter
Wednesday, 8 January, 2025

‘দৈনিক স্টেটসম্যান’ পত্রিকার আশঙ্কা সত্য প্রমাণিত, ঝাড়খণ্ড সীমান্ত থেকে উদ্ধার প্রচুর পরিমাণের বিস্ফোরক

ডিএসপি-ডিইবি স্বপন চক্রবর্তীও জানিয়েছেন যে, জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পাওয়া গোপন তথ্যের ভিত্তিতেই তাঁরা অভিযান চালিয়ে এই সাফল্য পেলেন।

উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক। নিজস্ব চিত্র

কয়েকঘণ্টা সময়ের ব্যবধানের মধ্যেই ‘দৈনিক স্টেটসম্যান’ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা সামনে এলো। মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারি দৈনিক স্টেটসম্যান পত্রিকা ‘ঝাড়খণ্ড থেকে অস্ত্র ঢোকার অভিযোগ মন্ত্রী ফিরহাদের’ শিরোনাম সংবাদে ঝাড়খণ্ড রাজ্য সীমানা লাগোয়া বীরভূম এলাকা দিয়ে বেআইনিভাবে কয়লা, গোরু থেকে শুরু করে আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকিয়ে তা মুর্শিদাবাদ হয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও জানিয়েছিলেন যে, ঝাড়খণ্ড সীমানা পেরিয়ে বীরভূমে অস্ত্র ঢুকিয়ে তা বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে দেওয়া হচ্ছে।

আর ‘দৈনিক স্টেটসম্যান’ পত্রিকার এই সংবাদ মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারি ভোরের আলো দেখার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই, বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে গোপন খবর পেয়ে জেলা এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকরা বীরভূমের ঝাড়খণ্ড রাজ্য লাগোয়া রামপুরহাটের হস্তিকান্দা এলাকার ঘন জঙ্গলের মধ্যে পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে হানা দিয়ে প্রচুর পরিমাণের বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে। পরিত্যক্ত এই বাড়িটির ঘরের মধ্যে থরে থরে সাজানো পিচবোর্ডের পেটি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২০ হাজার ডিটোনেটর ও ১৫ হাজার জিলেটিন স্টিক। এই ডিটোনেটরগুলি ভরা ছিল ৬টি বাক্সে। বিশেষ পদ্ধতির ২০ টি রোল জিলেটিন স্টিকও এখানে পাওয়া গিয়েছে।

ডিএসপি-ডিইবি স্বপন চক্রবর্তীও জানিয়েছেন যে, জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পাওয়া গোপন তথ্যের ভিত্তিতেই তাঁরা অভিযান চালিয়ে এই সাফল্য পেলেন। জঙ্গলের মধ্যে যে ঘর থেকে এই বিপুল পরিমাণের বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে, সেই ঘরের দেওয়ালে কালো কালিতে সাধন কুড়ে ও ভজন কুড়ে নাম লেখা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এই দুই নামে এলাকায় কেউ আছে কি না, তা যেমন খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে, তেমনি এভাবে দেওয়ালে নাম লিখে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, উদ্ধার হওয়া এই ধরনের মারাত্মক বিস্ফোরক মূলত কয়লা খাদান ও পাথর খাদানে বিস্ফোরণ ঘটাবার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বৈধ পাথর খাদান মালিকরা নির্দিষ্ট পদ্ধতির মাধ্যমে তা কিনে থাকেন। কিন্তু এদিন উদ্ধার হওয়া সমস্ত বিস্ফোরকই বেআইনিভাবে ঝাড়খণ্ড রাজ্য সীমানার জঙ্গলের মধ্যের পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ধরনের বিস্ফোরক নাশকতামূলক কাজেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই বিপুল পরিমাণের বিস্ফোরক মুর্শিদাবাদ হয়ে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে পাচার করার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখছে এনফোর্সমেন্ট বিভাগ।