দিল্লি, ১০ ফেব্রুয়ারি– রক্তের ক্যানসার সারিয়ে সুস্থ হয়েছেন দিল্লির গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজিস্ট ডা. (কর্নেল) ভিকে গুপ্তা৷ কার টি সেল থেরাপি চিকিৎসা পদ্ধতিতে দেশে প্রথম ক্যানসার-মুক্ত হলেন কোনও রোগী৷ ভারতীয় বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী এই আবিষ্কার সাড়া ফেলে দিল বিশ্বে৷
ক্যানসার কোষ চিহ্নিত করে তাকে ছেঁটে ফেলতে ক্রিসপার জিন এডিটিং পদ্ধতি নিয়ে বিশ্বজুডে়ই গবেষণা চলছে৷ ক্রিসপার জিন এডিটিং থেরাপি নিয়ে গবেষণা করে গত বছর নোবেলও পেয়েছেন দুই বিজ্ঞানী৷ কিন্ত্ত দেশের পদ্ধতিতে কার-টি সেল থেরাপি ক্যানসার মুক্তির নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে বলে দাবি করেছেন ভারতীয় বিজ্ঞানী-চিকিৎসকদের টিম৷ ডা. অলকা দ্বিবেদীর নেতৃত্বে এই টিম এমন এক থেরাপির প্রয়োগ করেছে যা রক্তের ক্যানসার সারাতে পারে বলে দাবি৷ গত বছর সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন ক্যানসারের চিকিৎসায় কার-টি সেল থেরাপি প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে৷ এই পদ্ধদিতেই রক্তের ক্যানসার সেরেছে দিল্লির চিকিৎসকরে৷ টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে তাঁর এই থেরাপি নিতে খরচ পডে়ছে ৪২ লক্ষ টাকা৷
ক্যানসার নিরাময়ে অস্ত্রোপচার, রেডিওথেরাপি, কেমোথেরাপির ওপর বেশি ভরসা রাখেন গবেষকরা৷ তবে ইদানীং উন্নত পদ্ধতিতে ইমিউনোথেরাপিতেও মারণ রোগের মোকাবিলা করা হচ্ছে৷ ইমিউনোথেরাপি মানেই হল শরীরের ইমিউন কোষকে সক্রিয় করে রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উপযোগী করে তোলা৷ তার জন্য বাইরে থেকে নানা রকম ইমিউন বুস্টার বা ইনহিবিটর প্রয়োগ করেন ডাক্তাররা৷ এই ইনহিবিটর শরীরের বি-কোষ ও ঘাতক টি-কোষকে সক্রিয় করে তোলে৷
কার-টি সেল থেরাপিতে শরীর থেকে ঘাতক টি-কোষ সংগ্রহ করে তাকে বাইরে থেকে শক্তিশালী করে তোলা হয়৷ অ্যাফেরোসিস পদ্ধতিতে রক্ত থেকে টি-কোষের একটা অংশ বের করে নেওয়া হয়৷ তারপর বিশেষ প্রক্রিয়ায় শরীরের নিজস্ব টি-কোষকে জিনগতভাবে আরও ‘মডিফায়েড’ ও ঘাতক করে তোলেন বিজ্ঞানীরা৷ এই ঘাতক টি-কোষ ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি থামিয়ে দিতে পারে৷