দেশের প্রথম স্থাপত্য ইলোরাতে এবার ‘হাইড্রোলিক লিফ্ট’এ

ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তকমা লেগেছিল আগেই। এবার দেশের প্রথম স্থাপত্য হিসাবে ‘হাইড্রোলিক লিফ্ট’ পেতে চলেছে মহারাষ্ট্রের বিখ্যাত ইলোরা গুহা।খবরটি জানিয়েছেন আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার এক সিনিয়র আধিকারিক।

ঔরঙ্গাবাদ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইলোরা ভারতের অন্যতম বিখ্যাত স্থাপত্য। শুধু ভারতেরই নয়,পৃথিবীর ইতিহাসে পাথর কেটে বানানো সবচেয়ে বড় মন্দিরগুলির মধ্যে একটি হল ইলোরা।

হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন রীতিতে কারুকাজ করা রয়েছে এই গুহাগুলিতে, যা দেখতে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক আসেন ইলোরায়।


ঔরঙ্গাবাদ এলাকার সুপারিন্টেন্ডেন্ট আর্কিওলজিস্ট মিলন কুমার চৌলে জানিয়েছেন, ‘ ইলোরার ৩৪টি গুহার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হল ১৬ নম্বর গুহাটি।

কৈলাশ গুহা নাম পরিচিত এই গুহাটি আসলে দোতলা। উপরে উঠে সেখান থেকে পুরো এলাকার সৌন্দর্য চাক্ষুষ করতে বেশ অনেকগুলি সিঁড়ি ভাঙতে হয় পর্যটকদের।

বিশেষভাবে সক্ষম মানুষরা যাতে হুইলচেয়ার নিয়ে উঠতে পারেন, তার জন্য সেখানে র‍্যাম্পের ব্যবস্থাও রয়েছে। তা সত্ত্বেও গুহার দুদিকে ছোট ছোট লিফ্ট লাগানোর প্রস্তাব দেয় এএসআই।’

সেই প্রস্তাবেই সিলমোহর দিয়েছে এএসআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। মিলন কুমার চৌলে জানিয়েছেন, ‘লিফ্ট লাগানোর জন্য আলাদা করে কোনও নির্মাণ কাজ হবে না।

মাত্র ৯ বর্গফুট জায়গা, যাতে আরামসে হুইলচেয়ারে চড়া ব্যক্তি দোতলায় উঠে যেতে পারবেন, সেরকমই ছোট্ট একটা ব্যবস্থা করা হবে।’

প্রতিদিন বিদেশী পর্যটক-সহ গড়ে ২ থেকে ৩ হাজার মানুষ ঘুরতে আসেন ইলোরায়। সেই কারণেই গুহা চত্বরে বেশ কয়েকটি ছোটোখাটো সুবিধাজনক পরিবর্তন করার কথা ভাবছে এএসআই।

যেমন, কিছু পেন্টিংয়ের সামনে আলো লাগানোর ভাবনা রয়েছে এএসআইয়ের। এছাড়া গুহার কিছু অংশে সংরক্ষণের কাজও করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

এছাড়া গুহা চত্বরে টিকিট কাউন্টারের সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভাবা হয়েছে। পুরো চত্বরে ঢোকা এবং বেরোনোর জন্য একটি করেই দরজা রাখার ভাবনা রয়েছে এএসআইয়ের।

এছাড়া কয়েকটি সেলফি পয়েন্টও করা হবে বলে জানানো হয়েছে। স্যানিটারি প্যাড ভেন্ডিং মেশিন-সহ ৩-৪টি শৌচালয় করার কথাও ভেবেছে তারা।