গ্রীষ্মের দাবদাহে পুড়বে দেশ, সতর্কবার্তা মৌসম ভবনের 

দিল্লি, ৩০ মার্চ –  গ্রীষ্মের দাবদাহে পুড়বে ভারতবাসী। এমনই সতর্কবার্তা দিল মৌসম ভবন। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, দেশজুড়ে তাপমাত্রার পারদ অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাবে। এপ্রিল এবং মে মাসে লু বইবে।  সেইসঙ্গে দোসর হবে তাপপ্রবাহ। মৌসম ভবনের বিজ্ঞানী ড. নরেশ কুমার বলেন, ‘ দাবদাহ কোন মাত্রায় পৌঁছবে তা এখনই নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। তবে এপ্রিল মাসে স্বাভাবিকের তুলনায় তাপমাত্রা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। এপ্রিল এবং মে মাস জুড়ে চলবে তাপপ্রবাহ। ইতিমধ্যেই স্বাভাবিকের থেকে তাপমাত্রা বাড়ছে। মধ্য ভারত এপ্রিল মাসে সবচেয়ে বেশি তাপপ্রবাহের সাক্ষী থাকবে।’ এই আবহাওয়া বিজ্ঞানীর আরও বক্তব্য, ‘চলতি মরশুমে সবচেয়ে উষ্ণতম হতে চলেছে মে মাস। তবে আগামী কয়েকমাস দেশের মধ্যবর্তী অংশের রাজ্যগুলিতে তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাবে।’
মার্চের শেষেই মালুম পাওয়া যাচ্ছে কী হারে বাড়বে গরমের দাপট। আবহাওয়াবিদরা যে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন, তার কিছুটা আঁচ এখনই উপলব্ধি করছেন  দিল্লিবাসী। শুক্রবার দিল্লি এবং তাঁর আশপাশের অংশে বৃষ্টিপাত এবং শিলাবৃষ্টি হলেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ পৌঁছে যায় ৩৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা চলতি বছরে দিল্লির সর্বাধিক উষ্ণতম দিন । সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। সকাল সাড়ে ৮টায় বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ পৌঁছে যায় ৭৪ শতাংশে।
 
শনিবারও  বজ্রবিদ্যুৎ সব বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস ছিল দিল্লিতে। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করে  ৩৬ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। এ ছাড়াও ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার পূর্বাভাস ছিল। গরম পড়তে না পড়তেই তাপমাত্রায় রেকর্ড হচ্ছে রাজধানী। গত ২০ মার্চ ৩১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যায় তাপমাত্রার পারদ। সেই রেকর্ড ছাপিয়ে যায় শুক্রবার। বছরের উষ্ণতম দিন তাপমাত্রা পৌঁছে যায় ৩৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।