দেশের সরকারি স্কুলগুলির শিক্ষার মান বাড়ানাে দরকার। আর সেজন্য বেসরকারি ক্ষেত্রকেও এগিয়ে আসতে হবে। মঙ্গলবার শিক্ষক পর্বের সূচনার পর জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। সেই সঙ্গে তিনি সদ্যসমাপ্ত অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিকে অংশ নেওয়া ভারতীয়দের দেশের ৭৫ টি স্কুলে অংশ নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার আরজিও জানান।
এরই পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, গত ৬-৭ বছরে যেভাবে যেভাবে দেশের উন্নয়নে সাধারণ মানুষ অংশ। নিয়েছেন তা কখনও কল্পনাই করা যায়নি। এদিন ভিডিও বৈঠকে কনক্লেভের ভারচুয়াল উদ্বাধন করার সময় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে শিক্ষকদের প্রতি প্রগাঢ় শ্রদ্ধাও।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা তাঁদের কাজকে কেবল পেশাদার দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন না। আসলে শিক্ষকতা তাঁদের কাছে একটি মানবিক অনুভুতি, একটি পবিত্র নৈতিক কর্তব্য। সেই কারণেই আমাদের শিক্ষক ও পড়াদের মধ্যে কোনও পেশাদার সম্পর্ক নেই। তাঁদের সম্পর্ক পারিবারিক। আর এই সম্পর্ক সারা জীবনের। সেই সঙ্গে দেশের শিক্ষকদের যে নতুন করে কারিগরি শিক্ষার প্রয়ােজন তাও বলেন তিনি।
নিষ্ঠা প্রশিক্ষণ শিবিরের বিষয়ে একথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁর কথায়, এই দ্রুত বদলাতে থাকা সময়ে দাঁড়িয়ে আমাদের শিক্ষকদেরও নতুন সিস্টেম ও টেকনিকের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। নিষ্ঠা প্রশিক্ষণ শিবিরের মাধ্যমে শিক্ষকরা এই পরিবর্তনগুলির বিষয়ে প্রশিক্ষিত হবেন।
এরই পাশাপাশি ‘টকিং বুক’ ও ‘অডিও বুক’ এর মতাে নয়া প্রযুক্তির কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী বছর পূর্ণ হচ্ছে স্বাধীনতার বছর। সেই কথা মাথায় রেখে সদ্যসমাপ্ত অলিম্পিক ও প্যারিলিম্পিকে অংশ নেওয়া ভারতীয় প্রতিযােগীদের দেশের অন্তত টি স্কুলে অংশ নেওয়ার আরজি জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি তাঁদের কাছে আরজি জানাচ্ছি ‘আজাদি কা অমৃত মহােৎসব’-এ অংশ নিতে তারা যেন অন্তত ৭৫ টি স্কুলে যান।