রামমন্দির নির্মাণের জেরে সরকারের বাণিজ্যিক মুনাফা

রাম মন্দিরের নির্মাণকার্যের ফলে রাজস্ব বাবদ সরকারি কোষাগারে জিএসটির খাতে ঢুকতে চলেছে ৪০০ কোটি টাকা! এমনটাই জানালেন শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই। ৯ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে হওয়া একটা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চম্পত জানালেন, রাজস্বের মোট পরিমাণ মন্দির নির্মাণ সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই জানা যাবে।

সাংবাদিক বিবৃতিতে চম্পত জানান, ‘আমার হিসেব অনুযায়ী, সরকার রাম মন্দিরের নির্মাণ বাবদ প্রায় ৪০০ কোটি টাকা জিএসটি পাবে। মন্দির চত্বরে ৭৯ একর জায়গার উপর মহর্ষি বাল্মীকি, তুলসিদাস ইত্যাদি মনীষীদের মন্দির মিলিয়ে মোট ১৮টা মন্দির তৈরি হবে। আমরা ১০০ শতাংশ করই দেব। করের এক পয়সাও বাদ যাবে না।’

রামমন্দির চত্বরে একটি শিবলিঙ্গ স্থাপন করে শিবমন্দিরও প্রতিষ্ঠা করা হবে, জানান চম্পত। তিনি আরও জানান, ভক্তদের জন্য মন্দির খোলা রয়েছে। পাশাপাশি নির্মাণকার্যও চলছে। কিন্তু এর জন্য ভক্তদের কোনও অসুবিধে হবে না বলেই জানান তিনি। এমনকী, একসঙ্গে ২ লক্ষ দর্শনার্থী এলেও সমস্যা হবে না বলেই তাঁর মত।


প্রসঙ্গত, ২০২৪ এর ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রামলালার মূর্তি স্থাপন করে অযোধ্যায় বহুপ্রতীক্ষিত রামমন্দিরের শুভ উদ্বোধন করা হয়। এ বছর ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় নবনির্মিত মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা অযোধ্যায় আসছেন মন্দির দর্শন করতে। ভক্তদের জন্য মন্দিরের একাংশ যেমন খোলা রয়েছে, তেমনই নির্মাণ কাজও চলছে। কিন্তু এর জন্য দর্শনার্থীদের কোনও অসুবিধা হবে না বলেই আশ্বাস দিয়েছেন চম্পত। তাঁর দাবি, এক সঙ্গে ২ লক্ষ ভক্ত সমাগম হলেও কোনও সমস্যা হবে না।

অযোধ্যায় রাম মন্দির কমপ্লেক্সে শিবের মন্দিরও তৈরি হবে। সেই মন্দিরে রাখার জন্য শিবলিঙ্গ তৈরি নিয়ে এখন ব্যস্ত ট্রাস্টের সদস্যরা। এই কাজের জন্যই মধ্যপ্রদেশে গিয়েছিলেন চম্পত। সে রাজ্যের খারগোনে জেলায় রয়েছে বাকায়া গ্রাম। নর্মদা নদীর তীরে অবস্থিত এই গ্রামে শিবলিঙ্গ তৈরির জন্য বিখ্যাত। আইএএস অফিসারের থেকে বিষয়টি জানতে পারেন চম্পত। তারপরই ওই গ্রামে গিয়েছিলেন শিবলিঙ্গের বিষয়টি নিশ্চিত করতে।