চিতাবাঘের আক্রমণ থেকে বাবাকে রক্ষা করল সন্তানরা 

আচমকা চিতাবাঘের আক্রমণ, বাবাকে রক্ষা করল তিন সন্তান। দুই ছেলে এবং মেয়েকে নিয়ে বাড়ির পিছনের  টিউবওয়েলে হাত-পা ধোওয়ার সময় আচমকাই বাঘের আক্রমণের মুখে পড়েন সুরেন্দ্র নামে এক হোমগার্ড জওয়ান। ওই জওয়ানের উপর চিতাবাঘ  ঝাঁপিয়ে পড়লে তিনি পড়ে যান। বাবাকে চিতাবাঘের আক্রমণের শিকার হতে দেখে বাঘের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর সন্তানরা। তাদের অদম্য সাহস আর তাৎক্ষণিক বুদ্ধির জোরে চিতার হামলা থেকে রক্ষা পান বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের আমননগর গ্রামে। 

শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির পিছনে থাকা টিউবওয়েলে হাত-পা ধুচ্ছিলেন  এক হোমগার্ড জওয়ান। সঙ্গে ছিল তাঁর তিন সন্তান দিশা, রিশু এবং দীপাংশু।তাঁরা কেউই বুঝতে পারেননি টিউবওয়েলের পাশে থাকা আমগাছের উপর বসে আছে  চিতাবাঘটি। বাঘের শিকারী দৃষ্টি তখন ওই জওয়ানের দিকে। এরপর হঠাৎই ওই জওয়ানের ঘাড়ের উপর লাফ দিয়ে এসে পড়ে চিতাটি। ঘটনার আকস্মিকতায় শরীরের ভার সামলাতে না পেরে মাটিতে পড়ে যান সুরেন্দ্র। চিতাবাঘটিকে হামলা করতে দেখে এক মুহূর্ত দেরি করেনি তাঁর সন্তানরা। সঙ্গে সঙ্গে চিতাবাঘের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জওয়ানের এক সন্তান অসীমসাহসে ভর করে চিতাবাঘের পা টেনে ধরে। অন্যজন টেনে ধরে লেজ। আরও এক সন্তান  চিতাবাঘের কবল থেকে বাবাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য ধস্তাধস্তি শুরু করে। ১০ মিনিট ধরে এই অসম লড়াই চলতে থাকে। চিৎকার চেঁচেমেচি শুনে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা।তাঁরাও এসে চিতাবাঘটিকে ঘিরে ধরেন এবং লাঠিসোটা নিয়ে চিতাটির উপর চড়াও হন। এরপর সবার আক্রমণের মুখে পড়ে মারা যায় চিতাটি। চিতাবাঘের হামলায় জখম  হন সুরেন্দ্র।
 
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বিজনৌরের ডিএফও জ্ঞান সিংহ। রেঞ্জার রজনীশ তোমর জানিয়েছেন, চিতাবাঘটির বয়স তিন বছর। সেটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সুরেন্দ্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া চিকিৎসার জন্য।