দিল্লি, ২৯ জুন – পশ্চিমবঙ্গকে ছাড়াই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে জল বণ্টন নিয়ে চুক্তি নবীকরণের পথে এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার— মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা এই অভিযোগকে আগেই অস্বীকার করে কেন্দ্র। শনিবার বিষয়টি নিয়ে আবারও মুখ খুললেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জায়সওয়াল। তাঁর কথায়, “ এই অভিযোগ বাস্তবের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। যে অভ্যন্তরীণ কমিটি গড়া হয়েছিল, তার সবক’টি বৈঠকেই পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এমনকি ৬ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছিল, গঙ্গা চুক্তিতে ২০২৬-এর পরেও যেন রাজ্যের পানীয় জল এবং শিল্পের জন্য জলের প্রয়োজনীয়তার কথা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এখন এই কমিটি তার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে জলসম্পদ মন্ত্রককে।”
কেন্দ্রীয় সূত্রের বক্তব্য, ২০১৩-র অগস্ট থেকে ২০২৪-এর মে মাসের মধ্যে ওই কমিটি এখনও পর্যম্ত চারটি বৈঠক করেছে। জলশক্তি মন্ত্রককে তারা চূড়ান্ত রিপোর্টটি পেশ করে গত ১৪ জুন। কেন্দ্রের দাবি, এই চারটি বৈঠকের তিনটিতে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব থেকেছে। কখনও সেচ মন্ত্রকের যুগ্মসচিব, কখনও চিফ ইঞ্জিনিয়ার উপস্থিত থেকেছেন। এমনকি ৬ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছিল, গঙ্গা চুক্তিতে ২০২৬-এর পরেও যেন রাজ্যের পানীয় জল এবং শিল্পের জন্য জলের প্রয়োজনীয়তার কথা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এখন এই কমিটি তার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে জলসম্পদ মন্ত্রককে।”