রোমের পরে নেপাল যাত্রাও আটকে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বারবার বিদেশ সফর বাতিল হয়ে যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর। নেপালি কংগ্রেসের ২৪ তম কনভেনশন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তৃণমূলনেত্রীকে আজ শনিবারই কাঠমাণ্ডু যাওয়ার আমন্ত্রণ ছিল তাঁর। কিন্তু নয়াদিল্লি অনুমতি না দেওয়ায় নেপাল যাওয়া আটকে গেল মমতার।
তৃণমূলে নেত্রীর নেপাল যাওয়ার নিষেধাজ্ঞার নেপথ্যে কেন্দ্রের যুক্তি, ইদানিং চিন ও নেপালের মধ্যে সখ্যতার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। গালওয়ানে চিনা সেনা পিছু হঠার পরে ফের নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢোকার রাস্তা খোঁজার চেষ্টা করতে পারে। নেপাল বিভিন্ন ইস্যুতে ভারত বিরোধিতা করছে বেশ কিছুদিন ধরে।
এবার সেই বিরোধিতায় বেজিং ইন্ধন যোগাচ্ছে বলেও খবর মিলেছে। এই অবস্থাতে দেশের কোনও রাজনৈতিক দলকে নেপালে পাঠানোর পক্ষপাতী নয় কেন্দ্র। সেই কারণেই তৃণমূল নেত্রীর নেপাল সফরে অনুমতি দেওয়া হল না।
প্রকাশ্যে এই যুক্তি দিলেও মমতার নেপাল তথা বিদেশ সফর নিয়ে আগে থেকেই আপত্তি ছিল মোদি সরকারের। কেন্দ্র প্রশ্ন তুলেছিল কী করে বিদেশি একটি রাজনৈতিক দল এদেশের একটি রাজনৈতিক দলের নেত্রীকে আমন্ত্রণ সহিত পাঠায়?
সেই প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য নবান্ন চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, তৃণমূল নেত্রী হিসেবে নয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নেপালে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তারপর অবশ্য বিদেশমন্ত্রক কোনও প্রশ্ন তোলেনি। এর আগেও বিশ্ব শান্তি সংস্থা রোমে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
কিন্তু কো-ভ্যাক্সিন নেওয়ার কারণে রোমে যাওয়ার জন্য ছাড়পত্র মেলেনি মমতার। কারণ তখনও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ছাড়পত্র দেয়নি কো-ভ্যাক্সিনকে। অথচ ওই একই সময়ে মোদি ওই কো-ভ্যাক্সিন নিয়ে আমেরিকা গিয়েছিলেন।
সেই সময়ে দিল্লির তরফে বলা হয়েছিল রাষ্ট্রনায়কদের ক্ষেত্রে অনুমতি পাওয়ার বিষয়টি অন্য। এদিকে নেপাল সফর আটকানো নিয়ে মোদি সরকারের রাজনৈতিক বাধা দেওয়ার যুক্তিকে নস্যাৎ করে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী।
শুক্রবার বিধানভবনে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী কটাক্ষ করে বলেন, নেপালে যেতে গেলে তো বিদেশমন্ত্রকের পাসপোর্ট-ভিসা লাগে না। আপনি মনে করলে এক্ষুণি নেপাল চলে যেতে পারবেন। নিজের দর বাড়ানোর জন্যই নানা রকম কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।