দিল্লি, ৪ জানুয়ারী – স্বাস্থ্যক্ষেত্রে রক্ত দুর্মূল্য। তাই রক্ত নিয়ে ব্যবসা বন্ধ করতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্র। বেসরকারি হাসপাতাল ও ব্লাডব্যাঙ্কগুলি যাতে বেশি দামে রক্ত বিক্রি না করে তার জন্য নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, অনুমোদিত ফি ছাড়া রক্তের জন্য অতিরিক্ত মূল্য নেওয়া যাবে না। সাধারণ মানুষকে সুবিধে করে দিতেই কেন্দ্রের তরফে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘রক্ত বিক্রয়জাত বস্তু নয়’ এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয় সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে ন্যাশনাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন কাউন্সিলের নতুন নির্দেশিকা মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে।
সাধারণত, বেসরকারি হাসপাতাল এবং ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে প্রয়োজনে রক্ত নিতে হলে প্রচুর টাকা খরচা করতে হয় সাধারণ মানুষকে। প্রতি ইউনিট রক্তের জন্য ২ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্তও নেওয়া হয়। রক্তের গ্রুপ বিরল হলে রক্তের দাম অনেকটাই বেড়ে যায়। এক ইউনিট রক্তের দাম ১০ হাজার টাকাও ছাড়িয়ে গেছে এমনও হয়েছে।
কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, রক্তের জন্য কেবল অনুমোদিত ফি-ই নেওয়া যাবে। রক্ত বা রক্তের উপাদান ফি বাবদ ২৫০ থেকে ১৫৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া যাবে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। প্লাজমার প্রতি প্যাকেটে ৪০০ টাকা ফি ধার্য করা হয়েছে। এর পাশাপাশি রক্ত সংক্রান্ত অন্যান্য ফি-এরও উল্লেখ রয়েছে নির্দেশিকায়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকেই রক্ত নেওয়ার সময় রক্তদাতা জোগাড় করতে পারেন না। বিশেষত কোনও অস্ত্রোপচারের সময় এই সমস্যা প্রকট হয়। তখন দ্রুত রক্তের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনীয় গ্রুপের রক্ত জোগাড় করতে অনেক ক্ষেত্রে নানা সমস্যায় পড়তে হয় রোগীর আত্মীয়দের। রক্তকে ঘিরে গড়ে ওঠে অসাধু চক্রও । এর পাশাপাশি থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত রক্ত নিতে হয়। দামের জন্য সমস্যায় পড়তে তাঁদেরও। কেন্দ্রের এই নতুন নির্দেশিকা সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই নির্দেশিকা যথাযথ ভাবে মানা হচ্ছে কি না, সে দিকেও নজর থাকবে কেন্দ্রের ।