দিল্লি, ২ মে – সিবিআই কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়, এটি স্বশাসিত সংস্থা। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের করা এক মামলায় স্পষ্ট জানাল কেন্দ্র। রাজ্যে সিবিআই তদন্তে অনুমোদন রাজ্য সরকার প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। তবে তারপরও পশ্চিমবঙ্গে কয়েকটি মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
সংবিধানের ১৩১ ধারার আওতায় রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে। অভিযোগ, বাংলার তৃণমূল সরকার রাজ্যে সিবিআই তদন্তে অনুমোদন প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এরপরও সিবিআই রাজ্যে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এফআইআর-ও করছে।
২০২০ সালেই রাজ্যে সিবিআই তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র বা অনুমোদন প্রত্যাহার করে তৃণমূল সরকার। যার ফলে আদালতের নির্দেশ না থাকলে রাজ্যে কোনও মামলা দায়ের করতে হলে সিবিআইয়ের অনুমতি প্রয়োজন হয়। এর পরও আদালতের নির্দেশে একের পর এক মামলায় এফআইআর করতে শুরু করেছে সিবিআই। এর প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের বক্তব্য ছিল, দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাব্লিশমেন্ট আইনে সিবিআই-কে এফআইআর করার আগে রাজ্য প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।
গত প্রায় ৩ বছরে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের বিবাদের এই মামলা বহু বার শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হলেও এক বারও শুনানি হয়নি। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল। শুনানিতে রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়, সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলা সত্ত্বেও কেন্দ্রের নির্দেশে সিবিআই রাজ্যে একের পর এক মামলার তদন্ত করে যাচ্ছে। মামলা দায়ের করছে।
বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হয়। কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা এদিন বেঞ্চকে বলেন, “ সংবিধানের ১৩১ ধারা অপব্যবহার করা যাবে না।” তিনি বলেন , “ ভারত সরকার বাংলায় কোনও মামলা দায়ের করেনি। সিবিআই করেছে। এই তদন্তকারী সংস্থা ভারত সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়।”
রাজ্যে সন্দেশখালি-সহ একাধিক মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। গত ২৬ এপ্রিল সন্দেশখালি নিয়ে সিবিআই তফন্টের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। শীর্ষ আদালতে মামলার শুনানি হয়।