কৃষক কার্যকলাপের মধ্যে সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের ভূত দেখছে বিজেপি

কৃষক আন্দোলন (Photo: SNS)

দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসে তাণ্ডব চালিয়েছে একদল কৃষক। গতকাল সন্ধ্যায় যখন নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ঠিক তখনই এই ঘটনার কী প্রতিক্রিয়া দেওয়া যায় তা ঠিক করতে দলের সভাপতি জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির বিজেপি’র শীর্ষ নেতারা। নাগরিকত্ব সংশােধনী আইন সংক্রান্ত বিক্ষোভের সঙ্গে এই কৃষক আন্দোলনের মিলের কথাও উঠে আসে ওই বৈঠকে।

বিজেপির দফতরে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেপি নাড্ডা, বি এল সন্তোষ, অরুণ সিং সহ বেশ কয়েকজন নেতা। তবে বৈঠকে কী কথা হয়েছে সে ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বিজেপি।

কিন্তু সুত্রের খবর, দিল্লিতে কৃষকদের একাংশের তাণ্ডব নিয়ে আলােচনা হয়েছে। সবিস্তারে দলীয় নেতারা এর মধ্যে সিএএ-বিরােধী আন্দোলনের ছায়া খুঁজে পেয়েছে। গত বছর প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডােনাল্ড ট্রাম্প যখন প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সে সময় সিএএ সমর্থনকারী ও বিরােধীদের মধ্যে সঙঘর্ষ শুরু হয়ে গিয়েছি দিল্লিতে।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা দাবি করেন, তাদের মনে হচ্ছে এই প্রতিবাদে দেশবিরােধী বেশ কিছু লােকজন ঢুকে পড়েছে। তারা সরকারের সব উদ্দেশ্য মাটি করে দিচ্ছে। কেন সুপ্রিম কোর্টের ঠিক করে দেওয়া কমিটির সঙ্গে কৃষকরা কথা বলছেন না।, সে প্রশ্নও তােলেন তিনি।

বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র আর পি সিং বলেন- সিএএ- র মতাে এখানেও কিছু মানুষকে ভুল বােঝাচ্ছে বিরােধীরা। একজনকেও দেখাতে পারবে না, যার নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে। একই ভাবে তারা কৃষক আইনের প্রতিটি ধারা ধরে ধরে আলােচনায় আগ্রহী। কিন্তু প্রতিবাদীরা তা করতে আগ্রহী নয়।

তিনি বলেন, গতকাল যে হিংসা হল, তার দায় বাম ও অতি বাম বুদ্ধিজীবীদর নিতে হবে। অন্যদিকে রাহুল গান্ধিকে ভারতীয় ট্রাম্প বলে অভিহিত করে রাম মাধব বলেন, বুদ্ধিজীবীরা এখনও ছদ্মরাগ দেখাচ্ছে।