মানুষের শরীরে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। ভারতে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হবে খুব তাড়াতাড়ি। এমনটাই জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের ডিরেক্টর জেনারেল ডা. বলরাম। ভারতে ভ্যাকসিনের দৌড়ে এগিয়ে ডাইডাস ক্যাডিলার তৈরি জাইকভ ডি ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট এবং ভারতের বায়োটেক ইন্টারন্যাশনালের তৈরি কোভ্যাক্সিন।
এই দুই ভ্যাকসিন ক্যানডিডেটই ট্রায়ালের জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমোদন পেয়েছে। ডক্টর বলরাম জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই দুই ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হবে। প্রতিটির ক্ষেত্রে প্রায় হাজার জন করে স্বেচ্ছাসেবক বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় এই দুই পর্যায়ে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল হবে। স্বাধীনতা দিবসের দিনই করোনা টিকা আনার কথা ঘোষণা করেছিল ভারত বায়োটেক।
ভ্যাকসিনের সেফটি ট্রায়াল অর্থাৎ প্রি ক্লিনিকাল স্টেজ পেরিয়ে দুই পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ করে চূড়ান্ত রিপোর্ট কী করে ১৫ আগস্টের মধ্যে দেওয়া যাবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যে বিতর্ক চলেছে। যদিও স্বাধীনতা দিবসের মধ্যেই করোনার টিকা বাজারে চলে আসবে কিনা সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি ডক্টর বলরাম। তবে তাঁর কথায়, দেশে শুধু নয়, গোটা বিশ্বেই করোনার প্রভাব বেড়ে চলেছে। তাই এটা নৈতিক কর্তব্য যে জরুরি ভিত্তিতে খুব তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন বাজারে আনার চেষ্টা করা হবে।
বলরাম বলেন, ড্রাগ ও ভ্যাকসিন তৈরিতে বিশ্বের প্রথম সারিতেই রয়েছে ভারত। আমেরিকা ইওরোপের বাজারে যত রকমের ওষুধ পাওয়া যায় তার ৬০ শতাংশই তৈরি হয় ভারতে। ভ্যাক্সিন তৈরিতেও এগিয়ে রয়েছে ভারতই। বিশেষ করে আফ্রিকা, ইওরোপ, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বেশির ভাগ দেশেই যায় ভারতের ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানিগুলি থেকেই।
আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলেছেন, জাইডাস ক্যাডিলা ও ভারত বায়োটকের ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনেই। ল্যাবরেটরিতে ইদুর, খরগোশ, গিনিপিগ ও রডেন্ট জাতীয় ছোট প্রাণীর ওপর এই টিকার সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্টও ভালো। সব পদ্ধতি মেনেই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ হবে মানুষের শরীরে। টিকা দেওয়ার পর সময়ান্তরে পর্যবেক্ষণেও রাখা হবে তাদের।