কেজরির মুক্তির দাবিতে রণক্ষেত্র রাজধানী 

দিল্লি, ২৬ মার্চ  মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিল আম আদমি পার্টি। বিক্ষোভ ঠেকাতে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। দিল্লির প্যাটেল চক মেট্রো স্টেশনের কাছে আপ নেতৃত্বের তরফে কর্মসূচি শুরু হতেই মুহূর্তে তা রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীদের আটকাতে শুরু হয় ধরপাকড়। দিল্লি পুলিশের হাতে আটক হন পাঞ্জাবের মন্ত্রী তথা আপ নেতা হরজোৎ সিং বাইন।

এদিন সকাল থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে একাধিক স্তরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় দিল্লি পুলিশের তরফে। গোটা চত্বরে ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি মিটিং-মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নির্দেশ অমান্য করে প্যাটেল চক মেট্রো স্টেশনের কাছে আপ কর্মী সমর্থকদের জমায়েত শুরু হতেই পুলিশ সতর্ক হয়ে যায়। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে পুলিশের তরফে মাইকে ঘোষণা করা হয়, “এই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। আপনারা এখানে জমায়েত করবেন না। আপনাদের ৫ মিনিট সময় দেওয়া হচ্ছে এলাকা খালি করে দিন।” তবে পুলিশের নির্দেশকে উড়িয়ে আরও কর্মী-সমর্থক এসে জড়ো হয় ওই এলাকায়। এর পরই বিক্ষোভকারীদের সরাতে মাঠে নামে ‘অমিত শাহের বাহিনী’। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধের মাঝেই আটক করা হয় পাঞ্জাবের মন্ত্রী হরজোৎ সিং বাইন-সহ একাধিক আপ কর্মী-সমর্থককে।

আপ নেত্রী রিনা গুপ্তা বলেন, “আমাদের দাবি, অবিলম্বে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মুক্তি দেওয়া হোক। বেআইনিভাবে আমাদের নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ভয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে ভোটের প্রচার থেকে দূরে রাখতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”


দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামালায় গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে। আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজত দেওয়া হয়েছে তাঁকে।