দুর্ঘটনায় মৃত বাবা ও মেয়ের দেহ ব্যাগে ভরে টেনে নিয়ে যাওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই, প্রশ্নের মুখে পড়ল অসম পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে অসমের দাররাং জেলার মঙ্গলদোইয়ের সাকটোলার কাছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত বাবা ও মেয়ের দেহ ব্যাগবন্দি করে দড়ি দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে অসম পুলিশ। তারপর থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে অসম পুলিশকে। জানা গিয়েছে, স্কুটারে করে বাড়ি ফিরছিলেন বাবা ও মেয়ে মথুরা নাথ ডেকা ও নন্দিতা ডেকা। হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মথুরা নাথ ডেকা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে ধাক্কা মারেন। ফলে স্কুটার থেকে ছিটকে পরেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই দূর থেকে আসা আরেকটি ট্রাক বাবা ও মেয়েকে পিষে দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় বাবা ও মেয়ের। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। তাঁরা বাবা ও মেয়ের দেহ প্রথমে ব্যাগবন্দি করে পরে দড়ি দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়। সেই ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তারপর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত বছর এপ্রিলেও বাংলার কালিয়াগঞ্জে এমনই একটি ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তখন এক কিশোরীর বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ তড়িঘড়ি সেই কিশোরীর দেহ পুলিশ উদ্ধার করার সময়, বিতর্কের জন্ম নেয়। এই ঘটনাতেও কিছু ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছিল। যা নিয়ে রীতিমত রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়। রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছিলেন, পুলিশ যখন দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছিল সেই সময় এক ধস্তাধস্তির পরিবেশ তৈরি হয়। মন্ত্রীর দাবি ছিল, বিরোধী শিবিরের লোকজন ওই হট্টগোল করছিল। পুলিশের কাজে বাধা দিচ্ছিল, তাই পুলিশকে দ্রুত দেহ সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়। গোটা ঘটনার ভিডিও করে সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে।