জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদনগুলি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানাের আর্জি খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। মােদি পরিচালিত সরকার আগের বছর ৫ আগস্ট সংসদে প্রস্তাবনা দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিয়ে দুটি নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল– জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ গঠন করে।
শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এন ভি রামানা নেতাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ মামলার শুনানি করবে বলে জানিয়ে দেয়। পাশাপাশি আবেদনগুলি সাত বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানাের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়। আদালতের তরফে স্পষ্ট জানানাে হয়, ১৯৫৯ সালে প্রেমনাথ কউল বনাম জম্মু ও কাশ্মীর মামলা ও ১৯৭০ সালে সম্পৎ প্রকাশ বনাম জম্মু ও কাশ্মীর মামলায় যে রায় দেওয়া হয়েছিল তার মধ্যে সরাসরি কোনও দ্বন্দ্ব নেই।
২৩ জানুয়ারি শুনানির সময় অ্যাডভােকেট সঞ্জয় পারিখ পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজের পক্ষে সর্দার বল্লভাই প্যাটেল সহ গণপরিষদের সদস্যদের বিবৃতি পড়ে শােনান। যেখানে সংবিধানের প্রণেতারা ৩৭০ ধারা বহাল রাখার পক্ষে কথা বলেছেন।
সিনিয়র অ্যাডভােকেট জাফর শাহ জম্মু ও কাশ্মীর বার অ্যাসােসিয়েশনের পক্ষে বলেন, ভারত ও জম্মু-কাশ্মীরের সংবিধান একে অপরের সমান্তরাল ছিল। পারিখ ও শাহ দু’জনে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদনগুলি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানাের আর্জি জানিয়েছিল।
আগের দুটি রায় যেহেতু পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ দিয়েছিল। অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগােপাল বলেন, ‘আগের দুটো রায় একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল না, দ্বন্দ্ব ছিল’।