• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

৩০ সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরও ধর্ষিতা নাবালিকাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল শীর্ষ আদালত 

দিল্লি, ২২ এপ্রিল – ধর্ষণের শিকার হয়েছিল ১৪ বছরের নাবালিকা। গর্ভাবস্থার তার পেরিয়ে গেছে ৩০ সপ্তাহ। তবুও গর্ভপাতের অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। বম্বে হাইকোর্ট গর্ভপাতের অনুমতি খারিজ করে দিলেও সোমবার এই নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সেই নির্দেশ খারিজ করে দিয়ে সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও এই মুহূর্তে নির্যাতিতার গর্ভপাত করানো হোক। সুপ্রিম কোর্টের আরও সংযোজন, নাবালিকার জন্য এখন প্রতিটি

দিল্লি, ২২ এপ্রিল – ধর্ষণের শিকার হয়েছিল ১৪ বছরের নাবালিকা। গর্ভাবস্থার তার পেরিয়ে গেছে ৩০ সপ্তাহ। তবুও গর্ভপাতের অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। বম্বে হাইকোর্ট গর্ভপাতের অনুমতি খারিজ করে দিলেও সোমবার এই নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সেই নির্দেশ খারিজ করে দিয়ে সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও এই মুহূর্তে নির্যাতিতার গর্ভপাত করানো হোক। সুপ্রিম কোর্টের আরও সংযোজন, নাবালিকার জন্য এখন প্রতিটি ঘণ্টা খুবই সংকটের। 

ভারতীয় আইন অনুযায়ী, গর্ভাবস্থায় ২৪ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলে আর গর্ভপাত করানো যায় না। আইন মেনে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর গর্ভপাতের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল বম্বে হাই কোর্ট। গত ৪ এপ্রিল নাবালিকা ও তাঁর মায়ের আবেদন খারিজ করে উচ্চ আদালত। মেয়ের কোনও রকম শারীরিক পরীক্ষা ছাড়াই মেডিক্যাল বোর্ড নিজেদের মতামত জানিয়েছিল বম্বে হাই কোর্টকে। তার ভিত্তিতেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়।

শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন নাবালিকা ও তার মা। গত শুক্রবার নজিরবিহীন ওই আবেদন শোনেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালার বেঞ্চ। তাঁরা জানান, ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া নাবালিকার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার কথা মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি । এর পরই নতুন করে চেকআপের জন্য নাবালিকাকে হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। গর্ভপাতে নাবালিকার ক্ষতি হতে পারে কিনা, মহারাষ্ট্র প্রশাসনের থেকে তাও জানতে চেয়েছে আদালত।

শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়ে একটি টিম গঠন করতে বলেছে। চিকিৎসকদের এই দল নাবালিকার গর্ভপাতের দায়িত্ব নেবে বলে নির্দেশে বলেছে আদালত। বেঞ্চ আরও বলে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নাবালিকার জীবন সুনিশ্চিত করতে সব রকম ব্যবস্থা নেবে। মহারাষ্ট্র সরকার চিকিৎসার সমস্তরকম খরচ বহন করতে সম্মত হয়েছে। প্রসঙ্গত, বম্বে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নাবালিকার মা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

অবশেষে সোমবার মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে বলা হয়, গর্ভপাতের অস্ত্রোপচার করাতে গেলে নাবালিকার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে ঠিকই, কিন্তু সন্তানের জন্ম দিতে গেলে তার প্রাণের আশঙ্কা আরও বেশি। তাই গর্ভপাতের পক্ষেই সায় দেয় মেডিক্যাল বোর্ড। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছে ওই কিশোরীকে। ৩০ সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও নজিরবিহীন ভাবে গর্ভপাতের অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট।