কৃষি আইন প্রয়োজনে ফের আনা হতে পারে। সরকারের তরফে এই ইঙ্গিত অনেক আগেই মিলেছিল। এবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর প্রকাশ্যেই বলে দিলেন, কৃষি আইন নিয়ে সরকার এখন পিছিয়ে এসেছে।
কিন্তু দিনে আমরা ফের শুক্রবার মহারাষ্ট্রে এক অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা কৃষি আইনে সংশোধনী আনলাম। আগামী এগোবো। স্বাধীনতার ৭০ বছর পর এটা বিরাট বড় একটা সংস্কারমূলক পদক্ষেপ।
কিছু মানুষ এই আইন পছন্দ করেনি। কিন্তু সরকার তাতে হতাশ নয়। আমরা হয়তো এক পদক্ষেপ পিছিয়ে এসেছি। সময় হলে আমরা আবার সামনে পদক্ষেপ করব। কারণ কৃষকরাই আমাদের মেরুদণ্ড।
অর্থাৎ কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত, সুযোগ বুঝে আগামী দিনে এই আইন ফের আনতে পারে মোদি সরকার।
প্রসঙ্গত, গুরুপর্বের দিন একপ্রকার আচমকাই বহু বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তারপর সংসদে বিল এনে এই তিনটি বিতর্কিত আইন প্রত্যাহারও করেছে মোদি সরকার। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে অনেকেই চমকে গিয়েছিল।
এমনকী খোদ কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েতও স্বীকার করেছেন, সরকারের এই ঘোষণা তাঁদের কাছে অপ্রত্যাশিত। সরকার এতদিনে সঠিক পথে পদক্ষেপ করছে।
অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে, মোদির মতো দুরদর্শী রাজনীতিবিদ পুঙ্খানুপুঙ্খ না ভেবেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিলেন, নাকি এর মধ্যে বিশেষ কোনও উদ্দেশ্য আছে?
তাহলে কি কৃষকদের শান্ত করতে আপাত সমাধানসূত্র হিসাবে কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র?
পরবর্তীকালে সত্যিই কি এই তিন বিতর্কিত কৃষি আইন ফের আনা হতে পারে? খোদ কৃষিমন্ত্রী যখন বলছেন, তখন তাঁর কথাকে গুরুত্ব দিতেই হয়।
এমনিতেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা যে উত্তরপ্রদেশ এবং পাঞ্জাবের ভোটে হারের ভয়েই কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ভোট মিটে গেলে সরকার পুনরায় আইন বলবত করবে না তো? প্রশ্ন উঠছেই।